বিয়ের মরসুম শুরু হয়ে গিয়েছে। টলিপাড়াতেও বিয়ের সানাই। ডিসেম্বরের শু𝓀রুতেই সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন অভিনেত্রী পৌলমী দাস। ছোটপর্দা ও বড়পর্দার পরিচিত মুখ পৌলমী। ওটিটি-তে চুটিয়ে কাজ করছেন। আগামী সপ্তাহেই শুরু হচ্ছে তাঁর নতুন মেগা ‘মিত্তির বাড়ি’। তার ফাঁকেই বিয়ের পিঁড়িতে অভিনেত্রী।
গত ১🍸৭ই নভেম্বর সইবাবুদ করে বিয়েটা সেরে ফেলেছেন পৌলমী। তাঁর স্বামীর নাম ঋদ্ধিমান মজুমদার। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে অভিনেত্রী বলেন, ‘নতুন জীবন, খুবই উত্তেজিত। ও একদমই ইন্ডাস্ট্রির মানুষ নয়। সবচেয়ে বড়কথা হল আমাদের অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ। ঋদ্ধিমানের নিজস্ব স্টার্ট আপ বিজনেস আছে- সোলার এনার্🦹জির। ম্য়াট্রিমনির সুবাদে আলাপ, সেখান থেকেই চেনা-জানা আর আগামী ৬ই ডিসেম্বর আমাদের বিয়ে।’
অভিনেত্রী জানান, গত কয়েক বছর ধর𝕴েই বিয়ের চাপ আসছিল পরিবারের তরফে। সেই মতোই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন তিনি। জানালেন, ‘বাবা-মা বলছিলেন, এবার বিয়েটা সেরে ফেলা উচিত। সেইভাবেই দেখাশোনা শুরু, প্রচুর প্রস্তাব এসেছিল। তবে কপালে এটাই হওয়ার ছিল।’
সম্বন্ধ করে বিয়ে, তাও আবার ইন্ডাস্ট্রির বাইরের মানুষের সঙ্গে। প্রথম দেখায় নিশ্চয় অনেক প্রশ্ন ছিল ঋদ্ধিমানের মনে? পৌলমী বললেন, ‘আমাদের শোবিজ ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে তো মানুষের মনে অনেকরকম প্রশ্ন রাখে। কিন্তু ও আমার কাজটাকে সম্মান করে। ও নিজেও ছবি দেখে, ভালো বাংলা ছ🌌বি দেখতে ভালোবাসে। পরিচয়ের আগেই, হইচই-তে আমার বেশ কিছু কাজ ঋদ্ধিমান দেখেছিল।’
পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব, আর তারপর বিয়ের সিদ্ধান্ত। পৌলমীর কথায়, 'বেশিরভাগ সম্বন্ধ আসছিল,🐟 হয় দেশের বাইরে নয় তো কলকাতার বাইরে। এই একটা প্রোফাইল এসেছিল যে কলকাতার। মনে হল, এরসঙ্গে একটা কফি খেতে পারব। আড্ডা দিতে পারব। আর ওর সঙ্গে আলাপ হওয়ার পর খুব সহজেই বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছিল। প্রথম এক-দু'মাস আমরা পরস্পরকে চিনতে-জানতে সময় নিয়েছি। পরিবারও আমাদের সেই সময়টা আমাদের দিয়েছিল। বন্ধুত্ব দিয়েই আমাদের সম্পর্কটা শুরু হয়ে গিয়েছে। তারপর বুঝলাম না, এই সেই মানুষ যার সঙ্গে আমি জীবনটা কাটাতে চাইব।'
বিয়েতে একদম সাবেকি সাজেই সাজবেন পৌলমী। জানালেন, ‘একদম টকটকে লাল বেনারসি পরব, সঙ্গে সোনার গয়না’। এই মুহূর্তে মিত্তির বাড়ির শ্যুটিং নিয়ে ব্যস্ত পৌলমী। এই ধারাবাহিকে মেজো বউয়ের চরিত্রে দ෴েখা মিলবে তাঁর। সিরিয়ালের শ্যুটিংয়ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚের ফাঁকেই বিয়ের শেষ মুহূর্তের শপিং সারছেন। বিয়ের পর মধুচন্দ্রিমায় কোথায় যাবেন? সেই প্ল্যানিং অবশ্য এখনই ভাঙলেন না!