ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে এক নয়া চুক্তি স্বাক্ষরিত হল। সেই চুক্তি অনুসারে, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এবং রয়্যাল অস্🤡ট্রেলিয়ান এয়ার ফোর্স বা ব়্যাফ, উড়ান চলাকালীন ম♛াঝ-আকাশেই এক বিমান থেকে অন্য বিমান জ্বালানি সরবরাহ করতে পারবে।
বৃহস্পতিবার লাওসে আয়োজিত একটি বৈঠকে এই চুক্তি সম্পাদনের কথা ঘোষণা কꦐরেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং অস্ট্রেಌলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী প্যাট কনরয়।
আসিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির প্রতিরক্ষাꦐ মন্ত্রীদের নিয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। যেখানে আলাদা করে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকꦑ করেন রাজনাথ ও প্যাট।
সংশ্লিষ্ট চুক্তির আওতায় ব়্যাফের এয়ার-টু-এয়ার জ্বালানি সরবরাহকারী বিমান, কেসি ৩০এ-র মাধ্যমে ভারতীয় সশস্ত্রবাহিনীর বিমানে জ্বা⛄লানি ভরা যাবে। অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বিভাগের তরফে প্রকাশ করা একটি বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে। তাদের মতে, এই চুক্তি ভারতের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার সমারিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নতুন মাইলফলক তৈরি করল।
ওই বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ইদানীংকালে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের গতিবিধি বেড়েছে🧔। সেক্ষেত্রে ভারতীয় নৌবাহিনীর পি-৮১ নেপচুন নজরদারি বিমানে জ্বালানি ভরতে পারবে কেসি-৩০এ। সংশ্লিষ্ট চুক্তি সম্পাদন সেই প্রক্রিয়ার পথে প্রাথমিক ধাপ রচিত করল বলেও মনে করছে অস্ট্রেলিয়া।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যদি উড়ান চলাকাল⛦ীনই মাঝ-আকাশে বিমানে জ্বালানি ভরার ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে যে কোনও যুদ্ধবিমানের কার্যক্ষমতা এক ধাক্কায় অনেকটাꦡই বেড়ে যায়। কারণ, সেই বিমানকে আর জ্বালানি ভরার জন্য মাটিতে নামতে হয় না। ফলে তার উড়ানের পরিসর বিস্তৃত হয়ে যায়।
গত ১৯ নভেম্বর নয়া দিল্লিতে আয়োজিত অস্ট্রেলিয়া-ভারত বায়ু সেনা আধিকারিকদের বৈঠকেই এই চুক্তি স্বাক্ষরি✅ত হয়। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তাতে স্বাক্ষর করেন এয়ার ভাইস-মার্শাল হার্ভে রেনল্ডস। তিনি এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এর ফলে দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।
রেনল্ডসকে বলতে শোনা যায়, 'অস্ট্রেলিয়ার কাছে ভারত হল একেবারে শীর্ষস্তরীয় নিরাপত্তা সহয🌊োগী। আমরা আমাদের সামগ্রিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এই সম্পর্কে আরও মজবুত করব। সেইসঙ্গে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সরাসরিভাবে যৌথ দায়িত্ব পালন করব।'
ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া - এই দুই দেশই কোয়𝔍াডের সদস্য। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এই দুই রাষ্ট্রশক্তি যৌথভাবে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রসর হয়েছে। এমনকী, বিভিন্ন সময় যৌথ মহড়া-সহ অন্য়ান্য কর্মসূচিও পালন কর♐েছে।