রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির বিষয়ে বিশদে জানতে এবং এই বিষয়ে খতিয়ে দেখতে হেলিকপ্টরে করে বানভাসী এলাকা পরিদর্শনের কথা ছিল। তবে আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় সেই সফর বাতিল করতে বাধ্য হন মমতা। বদলে সড়ক পথেই দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে রওনা দেন মমতা। আমতা জলে নেমে যান তিনি। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। পুর꧋ো সময় নিজেই নিজের ছাতা ধরে রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন দুপুর ১২টায় ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে পৌঁছানোর কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী ম🎃মতার। ১২টা ১৫ মিনিটে কপ্টারে উড়ে বেলা ১টায় খানাকুলে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। খানাকুলে গতকালই তৈরি হয়েছিল হেলিপ্যাড। তবে সেই হেলিপ্যাড গ্রাউন্ড থেকে খবর আসে, সেখানকার আবহাওয়া খারাপ হতে শুরু করেছে। এই আবহে কপ্টারে হাওড়া ও হুগলির বানভাসি এলাকা পরিদর্শন-সূচি বাতিল করতে হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। উদয়নারায়ণপুরের দুর্গতদের কাছে তারপর গাড়ি করেই পৌঁছে যান মমতা।
এদিকে এদিন দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করে মমতা জানান যে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের জল ছাড়ার বিষয়ে অভিযোগ জানান। এই💙 বন্যাকে 'ম্যান মেড' বলেও উল্লেখ করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বলেন, 'ডিভিসি রাজ্যকে না জানিয়েই জল ছেড়েছে। তার উপর প্রবল ꦇবর্ষণের জন্যই রাজ্যে কার্যত বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।'
প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীকে আশ্বাস দিয়েছেন এই প্রাকৃতℱিক দুর্যোগের পরিস্থিতিতে রাজ্যের পাশেই আছে কেন্দ্র। প্রয়োজনে সব ধরনের সাহায্য করবে কেন্দ্রীয় সরকার। মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, 'আমি ইতিমধ্যেই উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শনে বেরিয়েছি। হাওড়া এবং হুগলির বন্যা কবলিত বিস্তীর্ণ অঞ্চল ঘুরে দেখব। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলব। একইসঙ্গে ত্রাণকার্য পর্যালোচনা করব। এরপর নবান্নে ফিরে এসে সামগ্রিক রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠাব।' একইসঙ্গে এই সংকটে রাজ্যবাসীর পাশে থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।