সপ্তাহে একসঙ্গে দু’দিন বা তিনদিন ছুটি পেয়ে গেলে বেরিয়ে আসা যায় মন্দারমণিতে। সেখানের সমুদ্রসৈকতে পা ভিজিয়ে একটা আবেগঘন পরিবেশে নিজেদের মেলে ধরা যায়। বিশে🍒ষ করে নবদম্পতিদের আনাগোনা এখানে বেশি। আবার পর্যটকরাও আসেন অনাবিল আনন্দ নিতে। সেখানে এখন ভিড় হচ্ছে না। এমনকী শনিবার এবং রবিবার ছুটি ছিল। তার সঙ্গে শুক্রবার গুরু নানকের জন্মদিন উপলক্ষ্যে ছুটি ছিল। সুতরাং টানা তিনদিনের ছুটি। আর তাতেও ভিড় নেই মন্দারমণিতে। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। আর মাথায় হাত পড়েছে ব্যবসায়ীদের।
কিন্তু কেন উধাও ভিড়? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে মন্দারমণিতে এখন ভাঙচুরের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলতে হবে। মন্দারমণির ১৪০টি হোটেল ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। কারণ সেগুলি বেআইনি নির্মাণ করা হয়েছে। এখ🐽ন মন্দারমণির হোটেল, লজে নিয়মিত পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। তাই এসব ঝামেলার মধ্যে পর্যটকরা পড়তে চাইছেন না। আর তাই মন্দারমণি এড়িয়ে পর্যটকরা অন্যত্র ভিড় করছেন। সুতরাং হোটেল থেকে সৈকতে ভিড় নেই। চেনা ভিড় উধাও হয়েছে। তাতেই মাথায় হাত পড়েছে মন্দারমণির হোটেল মালিকদের।
আরও পড়ুন: ‘এনাফ ইজ এনাফ, অ্যাক্ট নাও’, সুশান্ত ঘোষের উপর হামলা নিয়ে পুলিশের উপর ক্ষুব্ধ মেয়র
এই ঘটনা সরাসরি রুটিরুজির উপর কোপ ফেলেছে। ১১ নভেম্বর কোস্টাল রেগুলেটেড জোন ম্যানেজমেন্ট অথরিটির জেলা কমিটির পক্ষ থেকে মন্দারমণি এবং সংলগ্ন চারটি মৌজায় ১৪০টি হোটেল, লজ, রিসর্ট এবং হোম স্টে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। আগামী ২০ নভেম্বর তারিখের মধ্যে বেআইনি নির্মাণ ভাঙা জায়গার পরিষ্কার করতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি। ২০২২ সালে বেআইনি হোটেল–রিসর্ট ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। এই হোটেলগুলি উপকূল বিধি মানেনি। নিয়ম না মেনেই গড়ে উঠেছিল। তাই এব🗹ার সব ভাঙা পড়বে।