লোকসভা ভোটের আগে ফেসবুকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী প্রশংসা করে নতুন করে বিতর্ক উস্কে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। তাঁর এই পোস্টের পর জল্পনা শুরু হয়েছে, অন্🍎য দলের ঘাটে কি নৌকা বাঁধতে চাইছেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক।
সম্প্রতিক সময় দুর্নীতি নিয়ে সমাজমাধ্য💎মে নান পোস্ট করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বিধায়ক। দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশে বেশকিছু বিতর্কিত পোস্ট করা থেকে বিরত ছিলেন তিনি। তবে লোকসভা ভোট এগিয়ে আসতেই শুভেন্দু, নওসাদকে নিয়ে তাঁর এই পোস্ট নতুন কর💎ে জল্পনা তৈরি দিল।
ফেসবুক পোস্টে বিধায়ক লিখেছেন, 'দেখা হলেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হাত তুলে তাঁকে নমস্𓄧কার করেন, আলিঙ্গন করেন। তাঁকে বলেন, তাঁর মতো লোকের রাজনীতিতে থাকা একান্তই দরকারএই প্রাপ্তি তো রাজনীতির জন্য। রাজনীতিতে না এলে উনি আমাকে চিনতেন না।'
আরও পড়ুন। ফের ধ🀅াক্কা গেরুয়া শিবিরে,💛 দল ছাড়লেন ঝাড়গ্রামের সাংসদ
বিধায়ক আরও লিখেছেন, 'দেখা হলেই আইএস🤪এফ বিধায়ক নওসা꧑দ তাঁকে হাত ধরে টেনে বিধানসভার ক্যান্টিনে নিয়ে যান। তাঁকে তো বটেই, তাঁর নিরাপত্তারক্ষী ও গাড়ির চালককেও চা-টোস্ট খাওয়ান। শরীর-স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন।'
প্রসঙ্গক্রমে তিনি সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্ত𝓡ীকে ন🥀িয়েও লিখেছেন।
তিনি জানান যাদবপুরে ছাত্র থাকাকালীন সময় থেকে তাঁকে সুজন চক্রবর্তী চেনেন। একই পোস্টে তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচি নিয়ে লিখেছেন বিধায়ক মনোরঞ্জ ব্যাপারী। তিনি লিখেছেন, ডুমুরদহ দিয়ে যাওয়ার সময় পিছন থেকে চোর চো🅰র স্লোগান ওঠে। পিছনে ফিরে কারণ জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা বলেন তাঁকে চোর বলেননি তাঁরা। সামনে হেঁটে যাওয়া লোকদের বলছেন তাঁরা। অর্থাৎ বিধায়কদের সামনে থাকা দলের লোকেদের বলছেন তাঁরা। বিধায়কের এই পোস্টে অস্বস্তি তৈরি হয় দলের মধ্যে।
বি✤জেপির বলাগড় বিধানসভার সহ-আহ্বায়ক অলক কুণ্ডু বলেন,'বিরোধী দলনেতার প্রশংসা থেকে বোঝা যাচ্ছে, উনি বিজেপি আসার পথ পরিস্কার রাখছেন।'
সিপিএম নেতা সজল মালোর বলেন, 'ꦇউনি সুজন চক্রবর্তী ওঁর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন, এর সত্যতা নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে। তৃণমূল বিধায়ক হতাশা থেকে এই সব কথা বলছেন। ওনার ফেসবুক পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে,অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের ডাল ধরতে চাইছেন।'
তৃণমূল অবশ্য এর মধ্যে কোনও বিতর্ক দেখতে চাইছে না। স্থানীয় নেতৃত্বের কথায়, সৌজন্যবশ𝔉ত𒁏 এই পোস্ট।