স্কুলের সামনেই রাতভর চলল গুলি। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে ভেবেছিলেন পাড়ার ছেলেরা বাজি ফাটাচ্ছে। কিন্তু, সকালে উঠেই স্থানীয় বাসিন্দারা জানতে পারলেন, সেখানে বাজি ফাটানো হয়নি, গুলি চালানো হয়েছে। আর বন্দুকের গুলিতে বিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের ১ নম্বর ব্লকের বিশ্বনাথপুরে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশবাহিনী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে এলাকায় বেশ কয়েকটি বোমা ফাটার আওয়াজ পাওয়া যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে ভেবেছিলেন পাড়ার ছেলেরা হয়ত বাজি পোড়াচ্ছে। তাই শীতের রাতে কেউ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে আর সেখানে দেখতে যাননি। কিন্তু সকাল হতেই দেখা যায় সেখানে ওই যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। বিশ্বনাথপুর গার্লস স্কুলের পাশে বাপি নায়েক নামে ওই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।কী কারণে ওই যুবককে খুন করা হল, তা বুঝে উঠতে পারছে না স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বাপি এলাকায় ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত । নিজের কাজটা ছাড়া অন্য কিছু বুঝতেন না। মঙ্গলবার রাতে কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় কয়েকদিন ধরেই বেশ কয়জন দুষ্কৃতী এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ঘটনায় ওই দুষ্কৃতীরা জড়িত থাকতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ঘটনার পরেই সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকায় এরকম একটি ঘটনার পরে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও বাপি রাজনৈতিকভাবে কোনও দলের সঙ্গে জড়িত ছিল না। কে বা কারা এই খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তাঁর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।