মিড–ডে মিলে আগে সাপ–ব্যাঙ–টিকটিকি পাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছিল। আর তা নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল একাধিকবার। এবার সেটা মারাত্মক আকার নিল। মিড–ডে মিলের শিশুদের খিচুড়িতে গিরগিটির দেহ মিলল। আজ, মঙ্গলবার সকালে হাওড়ার মুন্সিডাঙা বোর্ড প্রাইমারি স্কুলে এই ঘটনা নিয়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। আবার মিড–ডে মিলের খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল ৫০ জ🌞নের বেশি ছাত্রছাত্রী। তার মধ্যে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হল ২০ জন পড়ুয়া। এই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতার পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু বিদ্যাপীঠের। সুতরাং মিড–ডে মিল এখন আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে হাওড়ার মুন্সিডাঙা বোর্ড প্রাইমারি স্কুলের রান্নাঘরেই মিড–ডে মিলের খাবার বানানো হয়। ছুটির পর সেই খাবার এক শিশুর বাড়িতে দিয়ে দেওয়া হয়। ওই খাবার বাড়িতে এনে যখন খেতে যাচ্ছিল সাবিনা বেগমের ছেলে𓆉 তখন দেখতে পায় খিচুড়িতে গিরগিটি পড়ে। এই ঘটনা নিয়ে সাবিনা বেগম বলেন, ‘খাবার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে থালায় ঢেলে ছেলেকে খেতে দিই। দেখি গিরগিটির দেহ পড়ে আছে খাবারে। তার আগে ওই খাবার কিছুটা খেয়েও নিয়েছে আমার ছেলে। খুব চিন𝓀্তায় আছি।’ স্কুলে ওই খাবার নিয়ে গিয়ে শিক্ষিকাকে দেখান সাবিনা। এই ঘটনায় গ্রামে ঢি ঢি পড়ে গিয়েছে। স্কুলে হাজির হয়েছেন অন্যান্য অভিভাবকরাও।
আরও পড়ুন: ‘আমা🌊কে ভোটে অন্তর্ঘাতের প্রস্তাব দেয়’, কল্যাণ চৌবের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ কুণালের
অন্যদিকে গড়বেতার এই স্কুলে তিন নম্বর ব্লক–সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করে। এটি একটি আবাসিক স্কুল। আজ মঙ্গলবার দুপুরে মিড–ডে মিলের খাবার খাওয়ার পরে হঠাৎই ছাত্রছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করেন। প্রথমে ১০ জন পড়ুয়া অসুস্থবোধ করে। তারপর থেকে সংখ্যাটা বাড়তে থাকে। তাদেরকে দ্বারিগেড়িয়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন🥀্য পাঠানো হয়। এই মিড–ডে মিলের খাবার কিছু ছিল কিনা তা নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ জন ছাত্রছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বমি এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ছাত্রছাত্রীরা।