এক দুই কিংবা পাঁচ ঘণ্টা নয়। একেবারে টানা ৩৩ ঘণ্টা। মৃত সন্তানের সামনে সেই ঠায় দাঁড়িয়েছিল মা হাꦑতিটা। বনদফতর সরানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাদের গাড়ির দিকে তেড়ে গিয়েছে। নালায় পড়ে যাওয়া সন্তানকে তোলারও চেষ্টা কর🏅েছিল। কিন্তু তুলতে পারেনি। আবার সন্তানকে না নিয়ে চলে যেতেও মন চায়নি।
অবশেষে ধীরে ধীরে সরে গেল মা হাতি। একলা। যে সন্তান এജকেবারে পায়ে পায়ে ঘুরছিল তারই মৃত্যু হয়েছিল। এতক্ষণ তার দেহ আগলে ছিল। অবশেষে তাকে ছেড়েই চলে গেল মা হাতি। তবে তার আগে সন্তানের জন্য ৩৩ ঘণ্টার অপেক্ষা। ডুয়ার্সের কারবালা চা বাগানের ঘটনা।
সন্তানকে হারিয়ে একেবারে দিশেহারা হয়ে গিয়েছিল হাতিটি। আসলে নালায় পড়ে গিয়েছিল হাতিটি। ছোট্ট হাতি। আর উঠতে পারছিল না। সেখানেই মারা যায়। এদিকে সেই মৃত সন্তানের সামনে শুরু হয় মায়ের পাহারা। অনন্ত পাহারা। হয়তো ভাবছিল যে যদি সন্তান আরও একবার উঠে দাঁড়ায়। কিন্তু আর উঠে দাঁড়ায়নি হস্তিশাবক। তবে অপেক্ষার শেষ হচ্ছিল না মা হাতির। অবশেষে ৩৩ ঘণ্টা পার। হা🧔ল ছাড়ল মা হাতি।
এদিকে মাঝের সময়টা কখনও বনদফতরের কর্মী, কখনও আবার চা শ্রমিকদের দিকে তেড়ে যায় মা হাতিটি। সাꦯরা রাত ধরে তান্ডব চালিয়েছে হাতিটি। চা বাগানের একাধিক জায়গা একেবারে লন্ডভন্ড করে দেয়। সারা রাত অপেক্ষা করছিলেন বনদফতরের কর্মীরা। শেষ পর্যন্ত সকাল হল।
এদিকে হস্তিশাবকের দেহ তোলার ঝুঁকি নেয়নি বনদফতর। এদিকে সামনে থেকে কিছুতেই নজরদারি করা যাচ্ছিল না। কারণ তেড়ে আসছিল হাতিটি। সেকারণে ড্রোন দিয়ে নজরদারি করা হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত সেই ড্রোনের মাধ্যমে সেই হাতিটির ও হাতির💙 বাচ্চার উপর নজর চালানো হচ্ছিল। এদিকে পাশে বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনি। সেকারণে তাদের তরফে এই ড্রোন নিয়ে আপত্তি তোলা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত সব কিছু জানিয়ে তাদের আশ্বস্ত করা হয়।
ড্রোন উড়িয়ে নজরজারি করা হয় হাতির উপর। এরপর দুপুরে বোঝা যায় হাতির দলটি ধীরে ধীর💧ে চলে যাচ্ছে। এরপরেও বেশ কিছুটা অপেক্ষা করতে হয়। কারণ আচমকা আবার তেড়ে আসতে পারে হাতি। এরপর দুপুরে উদ্ধার করা হয় হাতির শাবককে। এরপর হস্তিশাবকটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। বনদফতর যখন নিশ্চিত হয় যে গভীর জঙ্গলে চলে গিয়েছে হাতির দল তখনই উদ্ধার করা হয় হস্তিশাবকের দেহ। নিথর দেহ।