রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর ডিজিটাল ল্যান্ড রেকর্ডে বর্গাদারদের নাম হঠাৎ গায়েব হওয়া এবং খাস জমি হাতছাড়া হওয়ার সমস্যা সমাধানে অত্যাধুনিক ব্লক চেন পদ্ধতি ব্যবহার করতে উদ্যোগী ൲হয়েছে নবান্ন। অভিযোগ উঠেছে যে, নিচুতলার কিছু কর্মীর সাহায্যে ভূমি সংক্রান্ত ডিজিটাল তথ্য ভাণ্ডারে কাটাছেঁড়া করায় এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
ব্লক চেন পদ্ধতির ভূমিকা
ব্লক চেন পদ্ধতি একটি নিরাপদ এবং সুরক্ষিত ডিজিটাল প্রযুক্তি, যা তথ্যের অখণ্ডতা রক্ষা করতে সহায়ক। এই পদ্ধতির মাধ্যমে জমির চরিত্র বদল করার ক্ষেত্রে একাধিক ধাপে কাজ করতে হয়, যা তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করে। কোনো একটি ধাপ বাদ দিয়ে পরের ধাপে যাওয়া অসম্ভব, ফলে তথ্য কাটাছেঁড়া করে কাজ করার প্রচেষ্টা হলে তা সঙ্গ🧸েসঙ্গে ধরা পড়বে। এভাবে, কোনও আধিকারিক যদি নির্দিষ্ট পদ্ধতি না মেনে কাজ করেন, তবে তা সহজেই শনাক্ত করা যাবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন। পড়ুয়াদের সুরক্ষায় স্কুল বাস, পুলকারের জন্য গাইডলাইন আনছে রাজ্🌟য, বদলাবে রং
অনলাইন পরিষেবা ও মাইক্রো সার্ভিস আর্কিটেকচার
বর্তমানে রাজ্য সরকার খাজনা জমা, মিউটেশনের আবেদন, এবং জমꦯির চরিত্র বদলের আবেদনের মতো একাধিক অনলাইন পরিষেবা চালু করেছে। তবে, তথ্য ভাণ্ডার ভারী হওয়ার দরুন প্রক্রিয়াটি ধীর গতিতে এগোতো। এই সꦯমস্যার সমাধানে, রাজ্য সরকার প্রতিটি অনলাইন পরিষেবার জন্য পৃথক মডিউলগুলি নতুন করে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। মাইক্রো সার্ভিস আর্কিটেকচার ব্যবহার করে এই কাজটি করা হচ্ছে, যা পরিষেবাগুলির গতি বাড়াবে এবং ব্যবহারকারীদের জন্য আরও সুবিধাজনক হবে।
আরও পড়ুন। ‘রাজ্যের সমস্ত মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত দেখতে চাই’, ভোট পরবর্🧸তী হি🉐ংসা নিয়ে কড়া কলকাতা হাইকোর্ট
প্রযুক্তিগত বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা
রাজ্যের এক পদস্থ কর্তা বর্তমান পত্রিকাকে জানিয়েছেন, এই কাজের জন্য ইতিমধ্যেই প্রযুক্তিগত বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ব্লক চেন পদ্ধতি এবং মাইক্রো সার্ভিস আর্কিটেকচার ব্যবহার করে ডিজিটাল ল্যান্ড রেকর্ডের সুরক্ষা ও কার্যকারিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। এর ফলেꦍ, রাজ্যের ভূমি সংক্রান্ত ডিজিটাল তথ্য আরও নিরাপদ হবে এবং ভূমি সংক্রান্ত অনলাইন পরিষেবাগুলি আরও দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য হবে।
রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ ভূমি সংক্রান্ত তথ্যের সুরক্ষ🎀া এবং অনলাইন পরিষেবার উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ব্লক চেন🐎 পদ্ধতির প্রয়োগের মাধ্যমে ভূমি চুরি ও তথ্য কাটাছেঁড়া বন্ধ হবে এবং সাধারণ মানুষের জন্য আরও সুবিধাজনক হবে জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিষেবা গ্রহণ।