বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আদিবাসী ছাত্রীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল জাতীয় তফসিলি উপজাতি কমিশন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এর জন্য উপাচার্য💜কে ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।🎉 ওই সময়ের মধ্যে রিপোর্ট না পাঠানো হলে সেক্ষেত্রে উপাচার্যের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হতে পরে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে কমিশন। ৩৩৮এ ধারায় এই নির্দেশিকা দিয়েছে কমিশন।
আরও পড়ুন: অনিয়ম চলছে, উপাচার্যের অপসারণ চাই! রাষ্ট্রপতিকে চিঠি ব𒈔িশ্বভারতীর অধ্যাপক সংগঠনের
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রী বিশ্বভারতীর শিক্ষা বিভাগ থেকে মাস্টার্স করেছেন। সেখান থেকেই এমফিলও করেছেন তিনি। ওই ছাত্রী গবেষণা করতে চাইছিলেন। সেজন্য শিক্ষা বিভাগের কাছে আবেদন করেন। তাঁর অভিযোগ, তফসিলি উপজাতির সংরক্ষণ অনুযায়ী মেধা তালিকায় প্রথমেই ছিলেন তিনি। কিন্তু, তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়। কেন বাদ দেওয়া হল? তা জানতে চেয়ে বিভাগীয় প্রধানকে বেশ কয🎶়েকবার চিঠি দিয়েছিলেন ওই ছাত্রী।
কিন্তু, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তাঁকে এবিষয়ে কিছু জানাতে চাননি। আরও অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়। এরপরেই ওই ছাত্রী জাতীয় তফসিলি উপজাতি কমিশনে অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশওন। কমিশনের তরফে এই মর্মে নোটিশ দিয়ে জানানো হয়েছে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা না দিলে উপাচার্যের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হবে। সমন জারি করা হলে তখন উপাচার্যকে সশরীরে হাজিরা দিতে হতে পারে।
ওই ছাত্রী জানান, তিনি মেধা তালিকায় প্রথমে থাকা সত্ত্বেও তাঁকে পিএইচডি করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। কারণ জানতে চাওয়া সত্ত্বে⛎ও কর্তৃপক্ষের তরফে কিছুই জানানো হয়নি। এরপরেই তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি জাতীয় তফসিলি কমিশনে চিঠি দিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, বিভাগের অধ্যাপিকা তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছিলেন। তাঁর দাবি, বিশ্ব বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর সঙ্গে♔ অন্যায় করেছিলেন তাই তিনি অভিযোগ জানিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, এর আগেও বিশ্ব ভারতীতে এই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল। তফসিলি উপজাতিভুক্ত অধ্যাপককে হেনস্থা করা হয়েছিল। সেই সময় বিশ্বভারতীর উপাচার্য কমিশনে সশরীরে হাজিরা দিয়েছিলেন। এছাড়াও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছিল।