হাতে ৭৩ কোটি টাকার বড়সড় পার্স 💦নিয়ে আইপিএল ২০২৫-এর মেগা নিলামে বসে দিল্লি ক꧒্যাপিটালস। পঞ্জাব ও বেঙ্গালুরু ছাড়া নিলামের টেবিলে এত টাকা ছিল না আর কোনও দলের হাতে। সুতরাং, যে কোনও ক্রিকেটারের পিছনে দৌড়নোর অবকাশ ছিল দিল্লির সামনে। সেই সুযোগটা অন্যভাবে কাজে লাগায় ক্যাপিটালস। তারা নিজেরা বাজেট অনুযায়ী ক্রিকেটার কেনে নিলামে। তবে শুরুতেই যাতে অন্য দলের পকেট ফাঁকা করে দেওয়া যায়, সেই চেষ্টায় ত্রুটি রাখেনি দিল্লি।
শেষমেশ সেই কাজে তারা⛄ সফলও হয়। আইপিএল ২০২৫-এর মেগা নিলামে সব থেকে দামি ৪ জন ক্রিকেটারের মধ্যে তি🐻নজনের দাম বাড়িয়ে দেয় ক্যাপিটালস।
প্রথমত, ঋষভ পন্ত নিলামে শ্রেয়স আইয়ারের থেকেও কম দাম পেতে পারতেন। তবে দিল্লি ক্যাপিটালসের জন্যই ২৭ কো༺টি খরচ হয় লখনউ সুপার জায়ান্টসের। একসময় লখনউ ২০ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকায় পন্তকে পেয়ে গিয়েছিল প্রায়। তবে দিল্লি আরটিএম ব্যবহার করার হুঁশিয়ারি দেওয়ায় লখনউ পন্তকে হাতছাড়া করার ভয়েই একলাফে ২৭ কোটি টাকা দর হেঁকে বসে। পন্ত যে নিজে দিল্লিতে থাকতে চাননি, সেটা সবাই জানেন। তাই দিল্লির আরটিএম ব্যবহার করতে চাওয়া এক্ষেত্রে পন্তের দাম বাড়িয়ে লখনউয়ের মানিব্যাগ খালি করার কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়।
দ্বিতীয়ত, শ্রেয়স আইয়ারের দাম ২৫ কোটি ছাড়ানোর পিছনেও দিল্লির হাত রয়েছে। ২ কোটি বেস প্রাইসের শ্রেয়সের জন্য শুরুতেই দর হাঁকে কলকাতা নাইট রাইডার্স। কেকেআরের সঙ্গে লড়াইয়ে যোগ দেয় পঞ্জাব কিংস। ৭ কোটি ২৫ লক্ষ টাকায় রণে ভঙ্গ দেয় পঞ্জাব। কলকাতার সঙ꧂্গে লড়াইয়ে তখন লড়াইয়ে নামে দিল্লি ক্যাপিটালস। কেকেআর ১০ কোটিতে হাল ছাড়লেও দিল্লি শ্রেয়সের দাম বাড়াতেই থাকে। শেষে লড়াইয়ে ফেরে পঞ্জাব এবং ২৬ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকায় শ্রেয়সকে জালে তোলে তারা। যদিও শ্রেয়সের দিকে দিল্লির যথার্যই নজর ছিল এবার।
তৃতীয়ত, অর্শদীপ সিংয়ের জন্য নিলামে চেন্নাই প্রথমে দর হাঁকে। সঙ্গে সঙ্গে লড়াইয়ে যোগ দেয় দিল্লি ক্যাপিটালস। ৭ কোটি ৫০ লক্ষ টাকায় সিএসকে রণে ভঙ্গ দেয়। তবে দর হাঁকা জারি রাখে দিল্লি। গুজরাটের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে শেষে ৯ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকায় দিল্লি রণে ভঙ্গ 🦩দেয়। অর্থাৎ, দিল্লি এটা নিশ্চিত করে দেয় যে, আর্শদীপতে তারা নিতে পারেনি তো কী হয়েছে, যারাই দলে নিক, ১০ কোটির কম যে খরচ না হয়। শেষে আর্শদীপকে ১৮ কোটি টাকায় দলে ফেরায় পঞ্জাব কিংস।
এছাড়া দিল্লি দাম বাড়িয়ে দেয় ডেভিড মিলার, লিয়াম লিভিংস্টোন, ইশান ꦗকিষানদের। ঋষভের মতোই আরটিএম ব্যবহারের হুঁশ♎িয়ারি দিয়ে আরসিবিকে রসিখ দারকে বেশি টাকায় দলে নিতে বাধ্য করে দিল্লি। ৩০ লক্ষ টাকার ঘরোয়া ক্রিকেটার বৈভবের জন্য কেকেআরকে খরচ করতে হয় ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। এক্ষেত্রেও তাঁর দাম বাড়িয়ে দেয় দিল্লি। অন্যদিকে লোকেশ রাহুলের দাম ২০ কোটি ছাড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। তবে দিল্লি তাঁকে পেয়ে যায় মোটে ১৪ কোটি টাকায়।