দীর্ঘ অসুস্থতার পর প্রয়াত হলেন বিজেপির প্রবীণ এবং বারাণসী দক্ষিণের সাতবারের বিধায়ক শ্যামদেব রায় চৌধুরী। তিনি ‘দাদা’ নামেও পরিচিত ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে বারাণসীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। প্রবীণ এই বিজেপি নেতার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ন♌রেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
আরও পড়ুন: সদস্য সংগ্রহে লক্ষ্যপূরণ থেকে বহু দূরে বঙ্গ–বিজেপি, জারি নয়া ফরমান,🥀🍸 ভবিষ্যৎ কী?
তাঁর মৃত্যুর পরেই রাষ্ট্রীয় সম্মানের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মণিকর্ণিকা ঘাটে শ্যামদেবের 🍌দেহ দাহ করা হয়। শোভাযাত্রা শুরুর আগে তাঁর বাসভবনে তাঁকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। শেষকৃত্য শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী, বিধায়ক থেকে শুরু করে বিজেপি ও অন্যান্য দলের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা এবং আধিকারিকরা।
তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র 🅰মোদী এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘আমি প্রবীণ বিজেপি নেতা শ্যামদেব রায় চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। তিনি সারা জীবন নিঃস্বার্থে জনসেবা করে গিয়েছেন। আমরা সবাই তাঁকে আদর করে ‘দাদা’ বলে ডাকতাম। তিনি শুধুমাত্র সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেননি বরং কাশীর উন্নয়নে নিজেকে নিবেদিত করেছেন। তাঁর চলে যাওয়া কাশী এবং সমগ্র রাজনৈতিক জগতের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। এই শোকের মুহুর্তে ঈশ্বর তাঁর পরিবার এবং সমর্থকদের শক্তি প্রদান করুন।’
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ লিখেছেন,‘প্রবীণ রাজনীতিবিদ এবং প্রাক্তন বিধায়ক শ্রী শ্যামদেব রায় চৌধুরি (দাদা)-এর মৃত্যু বিজেপি♊ পরিবারের জন্য একটি গভীর ক্ষতি। তাঁর প্রতি আমার বিনম্র শ্রদ্ধা। আমি প্রভু শ্রী রামের কাছে প্রয়াত আত্মার শান্তি প্রার্থনা করিᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ। পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা।’
উল্লেখ্য, শ্যামদেব বারাণসী দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক হিসাবে ১৯৮৯ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত টানা সাতবার দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি উত্তর প্রদেশ সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। গত ৫ নভেম্বর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বারাণসী𒈔 দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নীলকান্ত তিওয়ারি, চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডঃ সন্দীপ চৌধুরী এবং জেলা প্রশাসন ক্রমাগত তাঁর স্বাস্থ্যের উপর নজর রাখছিলেন। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের অধীন তাঁর চিকিৎসা করা হচ্ছিল। এদিন, সকালে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তারপরেই রবীন্দ্রপুরী কলোনির হাসপাতা🐻লে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
এর আগে, যোগী শ্যামদেবের অবস্থার খꦑোঁজখবর নিতে ১৬ নভেম্বর বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ পরিদর্শন করেছিলেন। তাঁর চিকিৎসায় যেন কোনও খামতি না থাকে সেবিষয়ে চিকিৎসকদের 🥀নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীও তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেন। কংগ্রেস শহর সভাপতি রাঘবেন্দ্র চৌবেও তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন।