তারিখটা ছিল ২৩ জুলাই, ২০২২। গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজ্যের 🎐শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তারপর থেকে ঠিকানা হয় প্রেসিডেন্সি জেল। শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ✨(ইডি) গ্রেফতার করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এখনও জেলেই আছেন তিনি।
২৮ জুলাই, ২০২২ তারিখে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। চারটি দফতরের দায়িত্ব থেকেই সরানো হয় পার্থকে। তখন থেকে প্রাক্তন মন্ত্রীর তকমা স♉েঁটে যায় তাঁর সঙ্গে। এই চারটি দফতর হল—শিক্ষা, শিল্প–বাণিজ্য, তথ্যপ্রযুক্তি, পরিষদীয়। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ্যসচিবের পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এই পার্থ চট্টোপাধ্যায় বামফ্রন্ট সরকারের জমানায়🍎 বিরোধী দলনেতা ছিলেন। আর তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রথমসারির নেতা হিসেবেই পরিচিত তিনি। শিক্ষা দফতর, শিল্প দফতরের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন।
৮ মার্চ, ২০২২: এসএসসি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্🀅চ। ১১ এপ্রিল, ২০২২: গ্রুপ–ডি নিয়োগে আদালতে রিপোর্ট পেশ। রিপোর্টে বলা হয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুমতিতে তৈরি কমিটি বেআইনি। এরপর ৬ মে, ২০২২: পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি যতদিন ছিলাম, দুর্ন🌄ীতির অভিযোগ আসেনি। আমার নাম দুর্নীতিতে জড়ায়নি, চেষ্টা করলেও পারবেন না।’ এখন শিক্ষা দুর্নীতির মামলায় একে একে সকলেই জামিন পেয়ে যাচ্ছেন। কুন্তল, শান্তনু থেকে শুরু করে জীবনকৃষ্ণ সাহা জামিন পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখনও জেলে।
আরও পড়ুন: হুমায়ুন কবীরকে শোকজ করল তৃণমূল কংগ্রেস, শৃঙ্খলাভঙ্গের জবাব তিনদিনের মধ্যে
একের পর এক জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। প্রভাবশালী তকমা দিয়ে জামিন খারিজ করা হয়। ২০ নভেম্বর ২০২৪ শেষবার জামিন খারিজ হয়ে যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এসএসসি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হলেও পরে পার্থকে গ্রেফতার করে সিবিআই’ও। ২০২২ সালে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। আর সেখানে তল্লাশি চালানোর সময়ই বান্ধবী অর্পিতার খোঁজ পান তদন্তকারীরা। তখন সেখানেও তল্লাশি চলে। টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে দফায় দফায় তল্লাশি চালান ইডির অফিসাররা। দীর্ঘ তল্লাশিতে টালিগঞ্জের একটি ফ্ল্যাট থেকে নগদ ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। আর বেলঘড়িয়ার ফ্ল্যাট থেকে মোট ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা নগদে উদ্ধার 🦋করে ইডি। উদ্ধার হয় কয়েক কোটি টাকার সোনার গয়না। মোট তিনটি ফ্ল্যাট মিলিয়ে নগদে মোট ৪৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং ৫ কোটি ৮ লাখ টাকার গয়না উদ্ধার হয়েছিল।
আর ২০২৪ সালের ২৫ নভেম্বর ইডির বিশেষ আদালতে জামিন পেলেন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়। পাঁচ লাখ টাকার বন্ড জমা দিতে হবে তাঁকে। সেই সঙ্গে তাঁকে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। তবে জামিন পেলেও কলকাতার বাইরে যেতে পারবেন না তিনি। এরপর আজ ২৭ নভেম্বর ২০২৪—সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়ল ইডি। ‘এভাবে কতদিন কাউকে আটকে রাখা যায়? আপনাদের দোষী সাব্যস্ত করার হার কত? তা খুবই খারাপ। যদি সেই হার ৬০ থ𝔍েকে ৭০ শতাংশ হত, তাহলেও বোঝা যেত। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জামিন দিলে কী সমস্যা হবে? কে এই অর্পিতা? শ𓃲ুধু তাঁর বয়ান দিয়ে হবে না, অন্য তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখতে হবে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় মন্ত্রী ছিলেন। প্রভাবশালী ছিলেন তিনি। কিন্তু ঘুষের টাকা কেউ নিজের বাড়িতে রাখে না।’ বিচারপতিরা আজ এই কথাই বলেছেন। আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।