আবারও 'প্রেমিকের হাতে নির্মমভ💎াবে খুন হতে হল প্রেমিকাকে'! দিল্লিতে শ্রদ্ধা ওয়ালকর এবং🐲 বেঙ্গালুরুতে মহালক্ষ্মীর খুনের ঘটনা মনে করিয়ে দিল সাম্প্রতিকতম এই খুনের অভিযোগ।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, এবারেরও ঘটনাস্থল - বেঙ্গালুরু। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর, ২০০৮) দক্ষিণী এই শহরের ইন্দিরানগর এলাকায় ১৯ বছরের এক তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। যিনি আদতে অসমের বাস♌িন্দা ছিলেন।
🌸পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত তরুণীর নাম - মায়া গগৈ ডেকা। মঙ্গলꦆবার শহরের একটি হোটেলের সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্ট থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। এবং সেই সময় দেহটিতে পচন ধরতে শুরু করে দিয়েছিল।
সূত্রের দাবি, গত ২৩ নভেম্বর মায়া নিজেই তাঁর সঙ্গীর সঙ্গে এই অ্যাপার্টমেন্টটি 'বুক'ꦑ করেছিলেন। তাঁর ওই সঙ্গীর নাম আরভ হ্যানয় (২১)।
পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে - গত ২৩ নভেম্বর (শনিবার) বেঙ্গালুরুর হোটেল রয়্যাল লিভিং-এর ওই সার্ভিস অ্যাপার্টেমেন্টে 'চেক ইন' করেন মায়া। তাঁর সঙ্গে 𓆏ছিলেন আরভ হ্যানয়। যিনি আদতে কেরালার কান্নুরের বাসিন্দাদ। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আরভ আদতে মায়ার প্রেমিক।
মঙ্গলবার সকালে হোটেলেরই এক কর্😼মী মায়াদের অ্যাꦬপার্টমেন্ট থেকে দুর্গন্ধ পান। তারপর হোটেল কর্তৃপক্ষ তাদের কাছে থাকা চাবি দিয়ে ঘর খুলতেই সেখানে মায়ার ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
মায়ার শরীরে ধারাল অস্ত্রের একাধিক কোপ পাওয়া গিয়েছে। তাঁর মাথ💮াতেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ওই তরুণীর বুকে ধারাল অস্ত্রের যে গভীর কোপ রয়েছে, তার জেরেই তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনাস্থল থেকে মায়ার একাধিক মোবাইল উদ্ধার করে সেগুলিকে ফরেন্সিক প𒈔রীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুসারে, খুন এবং তথ্য লোপাটের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশের তদন্ত অনুসারে ম🐬নে করা হচ্ছে, খুব সম্ভবত ২৪ নভেম্বর আ𒅌রভ মায়ার বুকে ধারাল কোনও অস্ত্র ঢুকিয়ে দিয়ে তাঁকে খুন করেন। এরপর একদিনেরও বেশি সময় ধরে ওই যুবক মায়ার দেহের সঙ্গে সেই ঘরেই থাকেন! তারপর ২৬ নভেম্বর তিনি সেখান থেকে চম্পট দেন।
পুলিশের এক তদন্তকারীকে উদ্ধৃত করে ডেকান হেরাল্ড-এর তরফে লেখা হয়েছে, 'মঙ্গলবার সকাল ৮টা ২ মিনিট নাগাদ ওই অভিযুক্ত হোটেলের অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং একটি ক্যাব ধরে সেখান থেকে চলে যান। কয়েক কিলোমিটার যাওয়ার পরই তিনি তাঁর মোবাইল সুജইচড অফ করে দেন। তারপর থেকে আর তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।'
সূত্রের দাবি, মায়ার খুনে অꦏভিযুক্ত ওই যুবক বেঙ্গালুরুরই একটি বেসরকারি শিক্ষা সংস্থা - এইচএসআর লেআউট-এ স্টুডেন্টস কাউন্সিলর হিসাবে কাজ করেন। অন্যদিকে, মা𓃲য়া মূলত একজন ভ্লগার। পাশাপাশি, তিনি জয়ানগরের একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরিও করতেন।
মায়ার বোনও বেঙ্গালুরুতেই থাকেন। তিনি 🐬পুলিশকে জানিয়েছেন, আরভের সঙ্গে তাঁর দিদির পরিচয় মাত্র ছ'মাসের। যদিও কীভাবে তাঁদের আলাপ হয়েছিল, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।
পুলিশ মনে করছে, মায়াকে খুন করার উদ্দেশ্য নিয়েই ওই সার্𒈔ভিস অ্যাপার্টমেন্টে এসেছিলেন আরভ। তিনি তাঁর ব্যাগে করেই একটি ধারাল ছুরি এনেছিলেন। যেটি এখনও পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি। এবং পরে সোমবার একটি অনলাইন সংস্থার মাধ্যমে একটি নাইলন🌃ের দড়ি কিনেছিলেন তিনি।
তবে, ঠিক কী কারণে অসমের ওই তরুণীকে বেঙ🍌্গ𝕴ালুরুতে এভাবে প্রাণ হারাতে হল, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।