অনেক বাবা মা রয়েছেন যারা ছোট সন্তান🀅দের বাড়িতে রেখেই বা প্রতিবেশীদের কাছে রেখে কাজে বেরিয়ে যান। যার ফলে সারাদিন দুশ্চিন্তার মধ্যে দিয়ে কাজ করতে হয় তাদের। এই অবস্থায় বাবা মায়ের সেই দুশ্চিন্ত♔া দূর করতে পদক্ষেপ করতে চলেছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। ছোট বাচ্চাদের দেখভাল করার জন্য বিভিন্ন পুরসভা এলাকায় ক্রেশ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দফতর।
আরও পড়ুন: কলকাতা পুরসভা চালু করছে রেয়ার ডিꦗজিজ ক্লিনিক, চিকিৎসা থেকে কাউন্সেলিং হবে শিশুদের
প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে ৭টি পুরসভা এলাকায় ক্রেশ তৈরি করা হবে। সেগুলি হল- কলকাতা, হাওড়া, বিধান নগর, চন্দননগর, আসানসোল, দুর্গাপুর এবং শিলিগুড়ি পুরসভা। জানা গিয়েছে, এইসব পুরসভার আধিকারিকদের সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠক করেছেন দফতরের আধিকারিকরা। সেই বৈঠকে পুরসভাগুলি এলকায় ক্রেশ তৈরির বি🐎ষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এগুলি তৈরির জন্য আর্থিক ꦍসাহায্য দেবে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। আর সেই প্রকল্প বাস্তবায়িত করবে পুরসভা।
যদিও বর্তমানে কলকাতায় বেশ কয়েকটি ক্রেশ রয়েছে। তবে সেগুলিতে শিশুদের রাখার জন্য খরচ বহন করা সম্ভব নয় আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারের ক্ষেত্রে। কারণ সেগুলিতে শিশুদের রাখার জন্য মাসꦐে ৬ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়। তাই পিছিয়ে থাকা পরিবারের কথা বিশেষ করে নিরাপত্তারক্ষী, রিকশা চালক, বাস কন্ডাক্টরের পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকা অভিভাবকদের কথা মাথায় রেখে এই ৭টি পুরসভায় শিশুদের রাখার জন্য ক্রেশ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে মাসিক আয় ১৫ হাজারের কম হলে ক্রেশে সন্তানদের রাখার জন্য কোনও খরচ বহন করতে হবে না অর্থাৎ বিনামূল্যে রা🐈খা যাবে। এর ফলে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া অভিভাবকদের সুবিধা হবে। আর ক্রেশগুলি তৈরি হলে সেখানে শিশুদের রেখে কোনওরকম চিন্তা ছাড়াই কাজ করতে পারবেন অভিভাবকরা।
জানা যাচ্ছে, এই ধরনের ক্রেশ তৈ🦩রির ব্যাপারে বিভিন্ন শিশু সংগঠন বহু দিন ধরেই দাবি তুলে আসছিল। অনেকের মতে, বর্তমানে যৌথ পরিবার কমছে। ফলে শিশুদের দেখভালের লোক থাকছে না। দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রাথমিকভাবে এই ৭টি পুরসভায় ক্রেশ তৈরি হলেও পরবর্তী সময়ে অন্যান্য পুরসভাগুলিতে একইভাবে ক্রেশ তৈরি করা হবে। এরফলে অনেকেই লাভবান হবেন বলে মনে করছে সংগঠনগুলি। এ বিষয়ে শিশু সুরক্ষা কমিশনের এক আধিকারিক জানান, শিশুদের কথা মাথায় রেখে এই পদক্ষেপ করাটা খুবই জরুরি।