সৈকত শহর দিঘাতে আছড়ে পড়বে ইয়াস। তারই প্রহর গোণা শুরু হয়েছে পুরোদমে। আপাতত দিঘা থেকে ৩২০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ইয়াস, জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়া দফতর থেকে প্রাপ্ত খবর অনুসারে বুধবার দুপুর ১২টা মধ্যেই রাজ্যে আছড়ে পড়তে পারে ইয়াস ঘূর্ণিঝড়। তবে আমফানের অভিজ্ঞতার জেরে এবার কিছুটা হলেও আরও গুছিয়ে তৈরি হওয়ার সুযোগ পেয়েছে প্রশাসন। এদিকে হলদিয়া, দিঘা সহ বিভিন্ন এলাকায় এনডিআরএফকে তৈরি রাখা হয়েছে। দিঘায় ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি টিমকেও রাখা হয়েছে। এনডিআরএফর সদস্য়রা উপকূলবর্তী এলাকায় টহল দিচ্ছেন। বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ, প্রশাসন। বিভিন্ন জায়গায় মাইকিংও করা হচ্ছে। এদিকে সময় যত এগিয়েছে ততই আরও উত্তাল হচ্ছে দিঘার সমুদ্র। জলোচ্ছাসও বাড়ছে ক্রমশ। হাওয়ার গতিবেগও বাড়তে শুরু করেছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এবারের ঝড়ে সবথেকে বেশি প্রভাব পড়তে পারে পূর্ব মেদিনীপুরে। বুধবার দুপুরে ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে পারে পূর্ব মেদিনীপুরে। ঝড়ের তীব্রতা ১৪৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগেও পৌঁছে যেতে পারে। সেকারণে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না প্রশাসন। তবে সূত্রের খবর, দুর্যোগ পরবর্তী ক্ষেত্রে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য দিঘাতে সেনা আসতে পারে।সেনাবাহিনীর ৭০জনের একটি টিম দিঘাতে আসতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।এদিকে হলদি নদীর জলস্তরও ক্রমশ বাড়়ছে। কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যান বিনীত কুমার জানান, ক্রেন, জাহাজগুলিকে নিরাপদ জায়গায় রাখা হচ্ছে।কলকাতা, হলদিয়া সহ অন্য়ান্য বন্দরে মধ্যে স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। বন্দরে লোডিং, আনলোডিংও আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টার জন্য নজরদারি রাখা হচ্ছে।