শৈলশহর নিয়ে কেন্দ্র–রাজ্যের চাপানউতোর ছিলই। তার মধ্যে বিমল গুরুংয়ের প্রত্যাবর্তন, অনীত থাপার নতুন দল ঘোষণা পাহাড়ের রাজনীতিতে সাড়া ফেলে দিয়েছিল। এবার পাহাড়ের রাজনীতিতে নয়া চমক দেখা গেল। পাহাড়ের রাজনীতিতে নতুন সংযোজন নতুন দল, হামরো পার্টি। বৃহস্পতিবার মিরিকে হামরো পার্টির নাম ঘোষণা করেন সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড। ব্যবসার পাশাপাশি এবার রাজনীতির ময়দানে বড় ভূমিকা নিতে চলেছে গ্লেনারিস কর্তা অজয় এডওয়ার্ড। আজই মিরিকে সাংবাদিক বৈঠক করে দলের নাম এবং লোগো প্রকাশ করেন তিনি।এই নয়া রাজনৈতিক দলের উৎপত্তি হওয়ায় নয়া সমীকরণের জন্মও হতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে। শৈলশহরে বেশ পরিচিত মুখ অজয় এডওয়ার্ড। গ্লেনারিস রেস্তোরাঁর কর্তা বলে যথেষ্ট পরিচিতি রয়েছে। তিনি একদা জিএনএলএফের দার্জিলিং শাখার সভাপতি ছিলেন। সেখানে মন ঘিসিং–এর সঙ্গে মতপার্থক্য তৈরি হওয়ায় অজয় দল থেকে ইস্তফা দেন। পাহাড় এবং তরাইয়ের মানুষের বিভিন্ন অসুবিধা নিয়ে কাজ করার কথা বলেন তিনি। পাহাড়ের মাটিতে নতুন রাজনৈতিক দল হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড বলেন, ‘মানুষের সমস্যা নিয়ে কেউ কাজ করছে না। সবাই নিজের আখের গোছাচ্ছে। মানুষ সবাইকে দেখেছেন। এবার আমাদের কাজ দেখবেন।’ তবে দেখার বিষয় পাহাড়ের একাধিক রাজনৈতিক দলের মধ্যে নতুন রাজনৈতিক দল হামরো পার্টি পাহাড়বাসীর কাছে কতটা সমর্থন জোগাড় করতে পারে।দল তৈরির আগে অজয় সমীক্ষা করেছিলেন বলে খবর। সেখান থেকেই দলের নাম চূড়ান্ত হয়। তিনি বলেন, ‘দল তৈরির আগে পাহাড়ের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়িয়েছি। কালিম্পং, কার্শিয়াং, দার্জিলিং, মিরিকে যাই। অনুরাগীদের সঙ্গে কথা বলি। সবাই কী চায়, তা বুঝতে পেরেছি। পাহাড়বাসীর হয়ে কাজ করব কথা দিচ্ছি।’ পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে সরব অজয় এডওয়ার্ড।