চুঁচুড়া পুর এলাকায় মহা অস্বস্তির ঘটনা। অস্থায়ী কর্মীদের একাংশ বেতন পাননি বলে খবর। তার জেরে মহা ক্ষুব্ধ হয়ে যান তারা। এরপর তারা পথবাতি্ জ্বালানোর কাজ করতে চাননি। কার্যত প্রতিবাদের অঙ্গ হিসাবেই তারা পথবাতি জ্বালানি। যার জেরে সন্ধ্যা থেকে একাধিক পথবাতি, হাই মাস্ট লাইট জ্বলছিল না। তারাই সাধারণত রোজ সন্ধ্যায় রাস্তার আলো জ্বালান। এদিকে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা চেয়ারম্যানের সামনে বিক্ষোভ দেখান। এরপর তারা আর পথবাতি জ্বালাতে চাননি। এর জেরে অন্ধকারে ডুবে যায় বহু এলাকা। এদিকে তৃণমূল পরিচালিত চুঁচুড়া পুরসভা। আর তৃণমূলেরই শ্রমিক সংগঠনের তরফে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি বেতন না হওয়া পর্যন্ত তারা আলো জ্বালাবে না। এদিকে তার জেরে অন্ধকারে ডুবে যায় শহরের একাংশ। রাস্তায় একেবারে ঘুটঘুটে অন্ধকার। এদিকে আন্দোলনকারীদের দাবি তাদের বেতন হচ্ছে না। তার জেরে তারা মারাত্মক সমস্য়ায় পড়ে গিয়েছেন। সেই জন্যই তারা প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নেমেছেন। তাদের দাবি, বেতন না মিললে তারা আলো জ্বালাবে না। এদিকে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার জানিয়েছেন, পৌর কর্মচারীরা বেতন পাচ্ছেন না এটা আমাকে জানাননি কেন। বেতন দেওয়া যাচ্ছে না সেটা চেয়ারম্যানও জানাননি। এনিয়ে আমার বলার কিছু নেই। তবে জরুরী পরিষেবা চালু রাখা দরকার। পুরসভার এই পরিস্থিতির কথা উচ্চ নেতৃত্ব জানেন। তারা নিশ্চয়ই কোনও ব্যবস্থা নেবেন। এদিকে গোটা ঘটনায় শহরবাসীর মধ্য়েও উদ্বেগ ছড়ায়। দীর্ঘক্ষণ রাস্তার আলো বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য পুরসভা দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে পুরসভার পক্ষ থেকে সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে বেতন মিললেই আলো যথারীতি জ্বালানো হবে বলেও আশ্বাস মিলেছে। সব মিলিয়ে প্রথম দিকে বাসিন্দারা বুঝতে পারেননি কেন এভাবে আলো জ্বলছে না। পরে তারা বিষয়টি বুঝতে পারেন। তবে কতদিন এই দুর্ভোগ চলবে তানিয়ে শহরে চর্চা চলছে।