পেঁয়াজ চুরির অভিযোগে সালিশি ডেকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে মারধর করা হয়েছিল। ধার্য করা হয়েছিল জরিমানা। সেই অপমানে আত্মঘাতী হলেন এক বৃদ্ধা। থানায় এমনই অভিযোগ দায়ের করলেন মৃতার মেয়ে। ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের মাঝিয়ারি।মাঝিয়ারির বাসিন্দা মিনতি মণ্ডলের বিরুদ্ধে প্রতিবেশীর জমি থেকে পেঁয়াজ চুরির অভিযোগ উঠেছিল। তাঁর পরিবারের দাবি, সেজন্য গত ২৯ জানুয়ারি গ্রামে সালিশি ডাকা হয়। সেখানে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে রাখা হয়। চলে মারধর। ১৫,০০০ টাকা জরিমানার নিদান দেওয়া হয়।মৃতের মেয়ে বীণারানি সরকার বলেন, 'আমার মা'কে মারধর করা হয় ও পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জরিমানার নিদান দেন। অপমান সহ্য করতে না পেরে রবিবার মা আত্মহত্যা করেছেন। আমি বিচার চাই। যাঁরা মাকে হেনস্থা করেছেন, তাঁদের শাস্তি চাই।'মিনতিদেবীর জামাই সুব্রত সরকার জানান, মারধরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শাশুড়িকে ছেড়ে দেওয়ার আর্জি জানান তিনি। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করা হয়নি। সুব্রত বলেন, 'প্রাথমিকভাবে তাঁকে ছাড়তে চাওয়া হয়নি। তাঁরা দাবি করছিলেন, শাশুড়ি পালিয়ে যাবে। পরে আমি বলি, শাশুড়ির জমি ও গবাদি পশু আছে বলায় তাঁকে ছাড়া হয়।'যদিও মারধর বা জরিমানার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি পরিচালিত বরুণা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ননীগোপাল মণ্ডল। তিনি বলেন, 'ওঁনার বয়স হয়েছিল। আমরা তাঁকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে রাখিনি। তাঁকে মারধর করা হয়নি। জরিমানার নিদানও দেওয়া হয়নি। আমরা পুলিশে জানাতে চাইনি, কারণ ওঁনার ছেলে বা জামাই দেখাশোনা করতেন না। পুলিশে অভিযোগ করলে তাঁর জীবন নষ্ট হয়ে যেত। আমি যাওয়ার আগে তাঁকে মারধর করা হয়েছে কিনা, তা আমি জানি না।'ঘটনায় কালিয়াগঞ্জ থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার জন্য অভিযোগ দায়ের করেছেন বৃদ্ধার মেয়ে। উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, 'বিষয়টি আমরা দেখছি।'