ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে বিতর্কে জড়িয়েছিল মুর্শিদাবাদের সুতির গোঠা এ রহমান হাইস্কুল। সেই অভিযোগে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারি এবং তা🧸ঁর ছেলে তথা ভুয়ো শিক্ষক অনিমেষ তিওয়ারিকে গ্রেফতার করা হয়। তা নিয়ে বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই ওই স্কুলে ফের একজন ভুয়ো𝓀 শিক্ষকের হদিশ পাওয়া গেল। এক্ষেত্রেও মেমো নম্বর জাল করে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই কার্যত শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ওই শিক্ষকের নামে সুতি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন জেলা স্কুল পরিদর্শক।
আরও পড়ুন: : ‘আরও অনেকে জড়িত’, মুর্শিদাবাদে🏅 ভু♍য়ো শিক্ষক মামলায় মন্তব্য বিচারপতি বসুর
জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষকের নাম আব্দুর রাকিব। তিনি স্কুলের সহ-শিক্ষক পদে ছিলেন। ২০১১ সাল থেকে তিনি সেখানে শিক্ষকতা করছেন। গত মাসেই তিনি আচমকা শিক্ষক পদ থে🍰কে ইস্তফা দিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে ক্লার্ক আবদুল রাহিদও ইস্তফা দিয়েছিলেন। তারা দুজনে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ইস্তফা দিয়েছিলেন। জানা যায়, ওই ক্লার্ক এক বছর ধরে ঠিকমতো স্কুলে আসছিলেন না। তবে ওই শিক্ষক স্কুলে আসতেন। তা সত্ত্বেও কেন তিনি ইস্তফা দিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
সেক্ষেত্রে তারাও বেআইনিভাবে নিয়োগ হয়েছিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষক সুতির শেরপুরের বাসিন্দা। তিনি ২০১১ সাল থেকে তিনি ওই স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। ঠিক পরের বছর করণিক পদে যোগ দিয়েছিলেন আবদুল রাহিদ।💧 জেলা স্কুল পরিদর্শক সেই সময় জানিয়েছিলেন, স্কুলের তরফে জানতে পেরেছেন যে দুজনে ইস্তফা দিয়েছেন। তবে কী🐎 কারণে তারা ইস্তফা দিয়েছেন? সে বিষয়ে খোঁজখবর করা হবে। অবশেষে খোঁজখবর নিয়ে তিনি জানতে পারেন, আব্দুর রাকিবও মেমো নম্বর জাল করে শিক্ষকতা করছেন। তাঁর নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি।
প্রসঙ্গত, এর আগে ওই হাইস্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারি ও তাঁর ছেলে অনিমেষ তিওয়ারির বিরুদ্ধে অভ🦂িযোগ উঠেছিল। সে ক্ষেত্রে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। এরপর দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে অবশ্য তারা দুজনে জ✃ামিন পান। এখনও এই মামলার তদন্ত করছে সিআইডি। তারই মধ্যে আরও এক ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগের খবর পাওয়া গেল।