করোনা আবহে স্কুল বন্ধ।ඣ এই পরিস্থিতিতে স্কুল ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে পড়ুয়ার অভিভাবকদের বিলি করা হয়েছে মিড ডে মিলের খাদ্য সামগ্রী। সেই খাদ্য সামগ্রীর চাল নিয়ে দেখা দিয়েছে সন্দেহ। অভিযোগ, চালের সঙ্গে এমন কিছু দানা 🉐মেশানো আছে যা প্লাস্টিকের। আর তাই প্লাস্টিক চাল সন্দেহে সেই চাল না খেয়ে বাজারে বিক্রি করছেন অভিভাবকরা। কয়েকদিন আগে ‘প্লাস্টি চাল’ অভিযোগ উঠেছিল মুর্শিদাবাদে। সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরেও একই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।
এদিকে প্লাস্টিক চালের অভিযোগ উঠতেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের তরফে অভয় প্রদান করে জানানো হয়েছে, পড়ুয়াদের বাড়তি পুষ্টির জন্য চালে আছে ‘ফর্টিফায়েড রাইস’। এই চাল প্লাꦆস্টিকের নয়। আর তাই অভিভাবকদের আতঙ্কিত হতে বারণ করা হয়েছে প♍্রশাসনের তরফে।
এদিকে প্রশাসনের অভয় প্রদানের পর প্রশ্ন উঠেছে, ‘ফর্টিফায়েড রাইস’ কী? জানা গিয়েছে, ধান থেকে চাল তৈরির সময় বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ পদার্থ বাদ চলে যায় চালের থেকে। বৈজ্ঞানিক উপায়ে সেই ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ ফেরানো হয় চ🌜ালে। এই পদ্ধতিকে ‘ফর্টিফিকেশন’ বলা হয়। ‘ফর্টিফায়েড রাইস’-এর ভাতে বেশি পুষ্টিগুণ থাকে। আলাদা করে তাতে আয়োডিন, ভিটামিন বি-১২, ফলিক অ্যাসিড, আয়রন যোগ করা হয়। আর তাই পড়ুয়া দের পুষ্টির অভাব দূর করতে মিড ডে মিলের চালে এই ‘ফর্টিফায়েড রাইস’ মেলানোর অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে সেই পুষ্টিযুক্ত চালকেই ভেজাল প্লাস্টিক চাল বলে সন্দেহ করছেন অভিভাবকরা। উল্লেখ্য, সাধারণ চালের থেকে আকারে বেশ কিছুটা বড় হয় এই ‘ফর্টিফায়েড রাইস’। খুব সহজেই নজরে পড়ছে সেগুলি। আর এই বড় বড় চাল রান্না করে নিজেদের সন্তানদের খাওয়াকে অস্বীকার করছেন অভিভাবকরা। বদলে এই চাল তাঁরা বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন।