সন্দেশখালির বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের ভুয়সী প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, বাংলায় পরিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রস্তুত🦄। শুধু সময়ের অপেক্ষা। আর এই পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পাল🍸ন করবেন নারীরা। বাংলায় নারীদের উৎপীড়নের জবাব নারীরাই দেবেন বলে জানান নরেন্দ্র মোদী। যদিও সন্দেশখালির স্টিং ভিডিয়ো নিয়ে কিছুই বলতে শোনা গেল না প্রধানমন্ত্রীকে।
আরও পড়ুন: ‘ভক্তরা ঢপ রান্💟না হচ্ছে!’ দেখুন তৃণমূল কী সব কার্টুন বানিয়েছে, নালিশ করল বিজেপি
একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সন্দেশখালিতে হাহাকার চলছিল। শুনে চোখে জল চলে এসেছিল। রাজনৈতিকভাবে আশ্☂রয়ের প্রয়োজন ছিল সেখানকার মহিলাদের অথচ রাজ্য সরকার কোনইভাবেই তাদের কথা শুনছিল না। তারপরে এটা নিয়ে আমরা খুবই চিন্তায় ছিলাম। আর তারপরেই একেবারে ঝুপ𒆙ড়িতে বসবাসকারী রেখা পাত্রকে প্রার্থী করেছিলাম।’
নরেন্দ্র মোদী আরও বলেন, ‘প্রার্থী করার পরে তাঁকে ফোন করেছিলাম। আমি বলেছিলাম দিদি হয়তো আপনার কাছে টাকা নেই। তাই আপনি একটা কাজ করুন। আমারাꦓ লোকের কাছে যাব আর বলব রেখা দিদির জন্য একটা ভোট দিন আর এক টাকা দিন। কিন্তু, রেখা বলেছিলেন সে আমি টাকা চাইতে পারব না। আমি হাতও জোর করে বলব ভোট দিন। আমার টাকা চায়না।’
এরপরেই রেখার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে বাংলায় এরকম নারী শক্তি থাকে সেই বাংলাই দেশকে এগিয়ে যেতে পারে।’ এরপরে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, ‘আমি মনে করি যে বাংলায় নারীদের যে উৎপীড়ন চলছে তার জবাব নারী শক্তিই দেবে।’ এপ্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ꦆ‘একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসে আছেন অথচ নারীদের উপরে অত্যাচার হচ্ছে। সেটাই সেখানকার মেয়েদের সবচেয়ে বেশি কষ্ট দেয়ꦦ। যদি কোনও পুরুষ ক্ষমতায় থাকত এবং নারীদের উপর অত্যাচার হত সেটা হয়ত এতটা কষ্ট দিত না।’ প্রধানমন্ত্রীর দাবি, বাংলায় পরিবর্তন আসতে চলেছে।
রেখার সঙ্গে কী কথা-
প্রসঙ্গত, এর আগে ফোনে রেখা পাত্র প্রধানমন্ত্রীকে অভিযোগ করেছিলেন, ২০১১ সালে তারা ভোট দিতে পারেননি। তারপরে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন, সেখানকার মানুষ যাতে ভোট দিতে পারেন সে বিষয🌜়ে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
উল্লেখ্য, যে সন্দেশখালিকে হাতিয়ার করে এতদিন ধরে আন্দোলন চালিয়েছিল বিজেপি, সেই সন্দেশখালির স্টিং ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই চাপে পড়েছে বিজেপি। তাতে দাবি করা হয়েছে, সন্দেশখালি পুরো ঘটনায় ছিল বিজেপির তৈরি করা। আর এই বিষয়কে হাতিয়ার করে খেলা ঘুরিয়ে দিতে🅠 মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। তবে বিজেপির দাবি ওটা ফেক ভিডিয়ো।