কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (কেএলএ) বিরুদ্ধে প্রায়ই টাকা চেয়ে হুমকি চিঠি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। উৎসবের মাঝেই এবার তৃণমূলের এক প্রাক্তন পঞ্চা༒য়েত প্রধানকে হুমকি চিঠি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। তাতে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করা হয়েছে। এই অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। বক্সিরহাট থানার পুলিশ তদন্তে নেমে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে, ধ🍬ৃত যুবকের নাম জনক বর্মন। ওই যুবক আদৌও কেএলও জঙ্গিদের সঙ্গে জড়িত কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ২৪ জন মাওব♚াদী এবং KLO জঙ্গিকে চাকরি দেবে সরকার, মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত
জানা গিয়েছে, তুফানগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের বারকোদালি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বারকোদালি গ্রামের বাসিন্দা সুরেশচন্দ্র পালের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল ওই যুবক। তৃণমূলের ওই প্রাক্তন প্রধান রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও তিনি একজন বড় ব্যবসায়ী তার ক্র্যাশার মিল রয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে তিনি তৃণমূলের টিকিটে জিতে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হয়েছিলেন। ৫ বছর ধরে তিনি পঞ্চায়েত প্রধান ছিলেন। এছাড়াও তিনি পাঁচ বছরের জন্য পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যও ছিলেন। তৃণ൲মূল নেতার অভিযোগ, তিনি কাজের সূত্রে অসমে যান। গত সোমবার সকালে কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশনের নাম করে অজ্ঞাত পরিচয় একজন তাকে ফোন করে প্রচুর অঙ্কের টাকা দাবি করে। সেইসঙ্গে ফোনে বলা হয় যে তার বাড়িতে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেই চিঠিটা যেন পড়ে নেন। এরপর তৃণমূল নেতা ওই চিঠি পড়তেই দেখেন তাতে প্রচুর অঙ্কের টাকা দাবি করা হয়েছে।
এদিকে তৃণমূল নেতা চিঠি পাওয়ার পরে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। গত শনিবার তিনি এ নিয়ে বক্সিরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে অবশেষে ওই যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, অক্টোবরের শেষের দিকে একইভাবে তুফানগঞ্জের বক্সিরহাটে༒র এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রচুর অঙ্কের টাকা চেয়ে হুমকি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। কেএলও জঙ্গির নাম করে সেক্ষেত্রে টাকা চাওয়া হয়েছিল। টাকা না দিলে ব্যবসায়ীর পরিবারের সদস্যদের খুন করে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছিল চিঠিতে। জানা যায় ওই ব্যবসায়ীর নাম বিনয় দাস।
ব্যবসায়ীর অভিযোগ ছিল, কে൲এলও’র যুদ্ধ তহবিলে টাকা জমা দেওয়ার জন্য হুমকি দিয়েছিল তাঁকে। তাঁর কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। প্রথমে তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, তিনি সেটি দেখেননি। পরে তাঁকে ফোন করে ১০ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। এক্ষেত্রেও একই কায়দায় টাকা চেয়ে হুম♏কি দেওয়া হয়েছিল ব্যবসায়ীকে। ফলে ওই ঘটনার সঙ্গে এই যুবকের যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।