রামনবমীর দু'দিন পর এক মিছিলকে কেন্দ্র করে হুগলির রিষড়ায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় সেখানে বিশাল পুলিশ বাহিনী নামাতে হয়। লোকাল ট্রেনের ওপর হামলা, বোমাবাজির ঘটনায় হাওড়া-বর্ধমান রুটে ব্যাহত হয়েছিল রেল পরিষেবা। পথে নেমেছিল আরপিএফ। জারি হয়েছিল ১৪৪ ধারা, সাময়িক ভাবে বন্ধ ছিল ইন্টারনেট পরিষেবা। তবে কেন দেখা দিয়েছিল এই অশান্তি? কেন ছড়িয়েছিল হিংসা? এই নিয়ে আদালতে এবার রিপোর্ট পেশ করল পুলিশ। আর তাতে চাঞ্চল্যকর দাবি করা হল। ২ এপ্রিলের মিছিল থেকে শুরু করে ৩ এপ্রিল রেললাইনে হামলার বিশদ বিবরণ রয়েছে সেই রিপোর্টে। হিংসা ঠেকাতে পুলিশ কী কী পদক্ষেপ করেছে, তাও বলা হয়েছে এই রিপোর্টে। পুলিশের তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, মিছিল থেকে ক্রমাগত উসকানি দেওয়া হয়েছিল। এই কারণেই অশান্তি দেখা দিয়েছিল। (আরও পড়ুন: আদালতের নির্দেশে আলোচনায় বসতে সুপ্রিম কোর্ট থেকে DA মামলা প্রত্যাহার করবে সরকꦬার?)
আদালতে পেশ করা পুলিশি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, গত ২ এপ্রিল, রবিবার রামনবমী উপলক্ষে একটি মিছিল বের করা হয়েছিল। সেই মিছিল থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের উসকানি দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয়দের উদ্দেশে অশালীন ভাষার প্রয়োগ করা হয়েছিল। এমনকী ইট, পাথরও ছোড়া হয় মিছিল থেকে। মিছিলে তলোয়ার, আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করা হয়েছিল। বেআইনিভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল ডিজে। এই আবহে স্থানীয় বাসিন্দারাও ইট, পাথর ছোড়া শুর🎐ু করে সেই মিছিলকে লক্ষ্য করে। এই আবহে হিংসা ছꦺড়িয়ে পড়ে। এর জেরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে বেগ পেতে হয়। পুলিশ এলাকা শান্ত করতে গেলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। পুলিশকেই বাঁশ, লাঠি, ইট, পাথর দিয়ে আক্রমণ করা হয়। পুলিশের গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়।
আরও পড়ুন: সরকারকে চাপে ফেললেন কর্মীরা, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে 💝চরম হুঁশিয়ারি ডিএ আন্দোলনকারীদের
রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, এর পরদিন, ৩ এপ্রিল সন্ধ্যা ৫টা ৪৫মিনিট নাগাদ বিশাল পুলিশবাহিনী শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে টহল দিতে থাকে। টহলের সময় পুলিশ বাহিনী রিষড়া এলাকার চার নম্বর রেলগেটের কাছে পৌঁছায়। সেই সময় ৫০০ থেক♋ে ৬০০ স্থানীয় মানুষ জমায়েত করে ছিল সেখানে। স্থানীয়রা পুলিশের উদ্দেশে অশালীন মন্তব্য করে। এরপরই তারা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছুড়তে থাকে স্থানীয়রা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বুঝতে পেরে আরও বাহিনী মোতায়েন করা হয় সেখানে। তখখন পুলিশবাহিনী উন্মত্ত জনতাকে শান্ত করার সবরকম চেষ্টা করে। কিন্তু জনতা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। বাঁশ, লাঠি, ইট, পাথর দিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ করা হয়। একটি সরকারি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ বাধ্য হয়ে কাঁদানে গ্য♏াস, রাবার বুলেট ব্যবহার করে। এরপর স্থানীয়রা আরও হিংস্র হয়ে ওঠে। পুলিশকে খুন করার অস্ত্র দেখাতে থাকে। ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী দখম হন। রেল কর্তৃপক্ষের একটি গাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই সময়।