জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান তথা বিশিষ্ট সমাজসেবী অপর্ণা ভট্টাচার্য ও তা🎀ঁর স্বামী তথা বিশিষ্ট সমাজসেবী সুবোধ ভট্টাচার্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তে নামলেন পুলিশকর্তা জয়রামন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা এই ঘটনার পুনরায় তদন্তের জন্যღ জয়রামনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ পেয়ে আজ বুধবার তদন্ত শুরু করেন ওই পুলিশকর্তা।
ওই ভট্টাচার্য দম্পতির মৃত্যু হয়েছিল গত ১ এপ꧙্রিল। জলপাইগুড়꧙ি শহরের পান্ডাপাড়া রোড এলাকার নিজের বাড়িতে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় তাদের। তাঁরা কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছিল বলে জানতে পারে পুলিশ। এই দুজনেই আবার সম্পর্কে ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের ভাই এবং বউদি। এই রহস্য মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চঞ্চল ছড়িয়েছিল। তবে এই মৃত্যুকে স্বাভাবিক বলে মানতে চাননি বিজেপি বিধায়ক। ওই দম্পতি সুইসাইড⭕ নোটে জলপাইগুড়ি পুরসভার বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূলের এক কাউন্সিলর ও দুই তৃণমূল কর্মী সহ মোট চারজনকে মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছিলেন। পুলিশ ঘটনায় সুইসাইড নোট উদ্ধার করে। এরপরের দিন কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি বিধায়ক। কিন্তু, তারপরেও কোনওরকমের পদক্ষেপ না করায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তা এবং তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তোলেন শিখা চট্টোপাধ্যায়। তিনি সিবিআই♔ তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে মামলা করেন। সেই মামলা স্থানান্তরিত হয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে। তবে ঘটনায় হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ না দিলেও পুলিশকর্তা জয়রামনকে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেয়।
এদিকে, ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সৈকত চট্টোপাধ্যায় হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই মতো তিনি কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিন পে📖য়েছেন। আদালতের অনুমতি ছাড়া তাঁকে গ্রেফতার করতে পারবে না পুলিশ। অন্যদিকে, এই ঘটনায় জলপাইগুড়ি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষ এবং এক তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে তাঁরা জেল হেফাজতে রয়েছেন। আরও এক অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী এখনও পলাতক।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলꦅায়। HT App ♎ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup