মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে আলুর দাম। এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই আলুর দাম যেন কোনওভাবেই ৩০ টাকার উপরে না যায় তা নিয়ে নবান্ন থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন মুখ্যসচিব। একইসঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়, নিষেধাজ্ঞার পরেও যদি কেউ আলু রফতানি করে তাহল𓂃ে সেক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী কড়া পদক্ষেপ করা হবে। সেই নির্দেশের পরেই এবার রাজ্যে কমতে চলেছে আলুর দাম।
আরও পড়ুন: আলু রফতানি ༺আপাতত বন্ধ, টাস্ক ফ🐲োর্সের বৈঠকে বড় সিদ্ধান্ত গৃহীত, দাম কি কমবে?
নবান্ন থেকে কড়া বার্তা পাওয়ার পরে শনিবার হুগলির আলু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না। বৈঠক শেষে তিনি জানান, ব্যবসায়ীরা আলুর দাম কমাতে রাজি হয়েছেন। প্রতি কেজিতে এক টাকা করে আলুর দাম কমানো হবে। বর্তমানে প্রতি কেজিতে ২৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে জ্যোতি আলি। সেই আলু পাওয়া যাবে ২৬ টাকায়। আর কলকাতা এই আলু মিলবে ৩০ টাকায়। এদিন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কয়েক ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন মন্ত্রী। ব্যবসায়ীরা ছাড়াও ছিলেন টাস্ক ফো🍃র্স এবং বিভাগের আধিকারিকরা। মন্ত্রী জানান, সোম-মঙ্গলবার থেকে বাজারে আলুর দাম কমতে শুরু করবে। আর কলকাতার বাজারে সোমবার থেকে এর প্রভাব পড়বে। সাধারণত হুগলি জেলায় প্রচুর পরিমাণে আলু উৎপাদন হয়। সেই আলু কলকাতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন জেলার বাজারে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। শনিবারের বৈঠক শেষে ব্যবসায়ীরা জানান, জ্যোতি আলু ২৭ টাকার পরিবর্তে ২৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার থেকে বাজারে এই দামে আলু পাওয়া যাবে।