মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে দুর্গাপুরে চালু হতে চলেছে রিজিওন্যাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি। শিল্পাঞ্চল–সহ দক্ষিণবঙ্গের অপরাধীদের অপরাধ প্রমাণ করতে যাতে বেশি সময় না লাগে তাই এমন উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরীক্ষাগার গড়ে উঠলে চাপ কমবে কলকাতার ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিরও। তারাও দ্রুত রিপোর্ট দিয়ে൩ অপরাধীর অপরাধ দ্রুত নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা নেবে। সবমিলিয়ে গোটা রাজ্যের অপরাধ দমনে মাইলফলক হতে চলেছে দুর্গাপুরের আঞ্চলিক ল্যাবরেটরি।
কবে উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী? সূত্রের খবর, সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি বর্ধমানের সভা থেকে উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ল্যাবরেটরির পাশাপাশি দুর্গাপুর পেতে চলেছে হাইব্রিড সিসিইউ। দুর্গাপুর মহকু🥂মা হাসপাতালে এই সিসিইউয়ের উদ্বোধনও করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২১ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে গড়ে ওঠা মোট ১৮টি প্রকল্প পশ্চিম বর্ধমানের মানুষের জন্য উপহার দেবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। শুধুমাত্র শিল্পাঞ্চলে ২৯টি প্রকল্পের শিলান্যাসও করবেন তিনি। এই বিষয়ে জেলাশাসক অরুণ প্রসাদ বলেন, ‘২৯টি প্রকল্পের শিলান্যাস ও ১৮টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। মোট অর্থমূল্য প্রায় ১০৫ কোটি টাকা।’
কেন এই ফরেনসিক ল্যাবরেটরি দরকার? আসানসোল, দুর্গাপুর, রানিগঞ্জ, কুলটি, জামুড়িয়ার 🙈মতো শহর এবং পাণ্ডবেশ্বর, বারাবনির মতো গ্রামীণ এলাকা নিয়ে গড়ে ওঠা পশ্চিম বর্ধমানে আইনশৃঙ্খলা সব সরকারের আমলেই মাথাব্যথার কারণ ছিল। ঝাড়খণ্ড থেকে এখানে এসে নাশকতা কিংবা অপরাধমূলক কাজের প্রবণতা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। এখানে অবৈধ কয়লা, লোহা, বালির কারবারের দখলদারি নিয়ে গ্যাংওয়ারও হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্🐟ত্রী হওয়ার পর জেলার আইনশৃঙ্খলার উপর বিশেষভাবে জোর দিয়েছিলেন। তাঁর উদ্যোগেই আসানসোল–দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেট গড়ে ওঠে। আর অপরাধ বৃদ্ধিতে লাগাম টানা সম্ভব হয়েছে। তবে উপযুক্ত তথ্য–প্রমাণ যাচাই করে অপরাধ প্রমাণ করা পুলিশের পক্ষে বড় চ্যালেঞ্জ। এক্ষেত্রে ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবের গুরুত্ব অপরিসীম। এবার সেই কাজ সম্পন্ন করতেও সদর্থক ভূমিকা নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
আর কী জানা যাচ্ছে? রিজিওনাল ফরেনসিক ল্যাব কাজ শুরু করলে পুলিশের পাশাপাশি উপকৃত হবে সিআইডি, সিবিআই–সহ অন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা চাইলেও নতুন ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করতে পারে। আবার দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে এখন সিসিইউ বেডের সংখ্যা ১৫টি। মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফরে এসে হাইব্রিড সিসিইউ বেড উপহার দিচ্ছেন। সুতরাং অত্যাধুনিক বেডের সংখ্যা বেড়ে হচ্ছে ২৫টি। হাসপাতালের সুপার ধীমান মণ্ডল এই বিষয়ে বলেন, ‘এতে মানুষ আরও ভাল পরিষেবা পাবেন। ২১টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্বোধন হতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে।’ আখলপুরের অত্যাধুনিক আরবান কমিউনিটি হেলথ সেন্টার, জেলা হাসপাতালে ডিস্ট্রিক্ট ইন্টিগ্রেটেড পাব﷽লিক হেলথ ল্যাবরেটরি, গ্রামীণ এলাকায় ১৯টি নতুন সাবসেন্টারের শিলান্যাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী।