💜 ২০১৮ সালে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে তেলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। অশোকনগরের ৫.৮৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ওই তেল রয়েছে বলে জানায় ওএনজিসি। এরপর ২০২০ সাল থেকে নাকি ১৯টি চিঠি দেওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারকে। তবে সেই সব জট কাটার ইঙ্গিত মিলেছিল সদ্য সমাপ্ত বিশ্ব বাংলা শিল্প সম্মেলনে। বিজিবিএস-এর মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, তেল উত্তোলনকারী সংস্থাকে ১ টাকার বিনিময়ে ১৫ একর জমি দেওয়া হবে। এই সময় পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রীর সেই ঘোষণার পরপরই গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ফের কাজ শুরু হয়েছে অশোকনগরে। সেখানে বাইগাছি এলাকায় মাটির নীচ থেকে তেল ও গ্যাস উত্তোলন প্রকল্পের কাজে হাত লাগিয়েছে ওএনজিসি।
🌟উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে প্রথম অশোকনগরে মাটির তলায় তেলের ব্লক খুঁজে পেয়েছিল ওএনজিসি। এরপর দীর্ঘদিন ধরে চলে অনুসন্ধান এবং গবেষণা। অবশেষে ২০১৮ সালের ২০ অগস্ট বাইগাছি মৌজায় প্রাকৃতিক তেল এবং গ্যাসের সন্ধান পায় ওএনজিসি। এই বাইগাছি হল অশোকনগর-নৈহাটি রোডের ধারে পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানেই মেন রাস্তা থেকে হাফ কিলোমিটার দূরেই ওএনজিসি-র প্রকল্পের প্ল্যান্ট। সেখানে প্রায় ২২০০ মিটার নীচে একটি কূপ থেকে খনিজ তেল উত্তোলন শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। তবে তেল উত্তোলনের এই প্রকল্পের জন্য আরও জমির প্রয়োজন ছিল ওএনজিসির। পাশাপাশি প্রয়োজন ছিল পেট্রোলিয়াম মাইনিং লিজ। দুই ক্ষেত্রেই জট দেখা দিয়েছিল। এর জেরে প্রকল্পের কাজ থমকে গিয়েছিল।
🍰এই বিষয়ে কেন্দ্রের তরফ থেকে এই ইস্যুতে দাবি করা হয়, রাজ্যের কাছ থেকে অশোকনগরের পেট্রোলিয়াম মাইনিং লিজ নিতে মোট ১৯টি চিঠি পাঠানো হয়েছে মমতার সরকারের কাছে। এর মধ্যে থেকে ১৪টি চিঠি পাঠিয়েছিল ওএনজিসি। এদিকে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকও ৩টি চিঠি পাঠিয়েছিল রাজ্য সরকারকে। এছাড়া বাকি ২টি চিঠি পাঠিয়েছিলেন ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ হাইড্রোকার্বন। তবে কোনও চিঠিরই নাকি জবাবেই নাকি সাড়া দেয়নি রাজ্য। উল্লেখ্য, পেট্রোলিয়াম দেশের সম্পত্তি হিসেবেই বিবেচিত হয়ে থাকে। তবে যে রাজ্যের মাটির তলায় সেই তেল থাকে, সেই রাজ্যের থেকে খননের জন্যে পেট্রোলিয়াম মাইনিং লিজ নিতে হয়। সেই প্রয়োজনীয় অনুমতি না পাওয়ার জেরেই আজও অশোকনগর থেকে ওএনজিসি তেল উত্তোলন করতে পারেনি। তবে সাম্প্রতিক রিপোর্টে দাবি করা হল, বিজিবিএস-এ মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় নাকি সেই জট কেটেছে। আর মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বাইগাছিতে শনিবার নতুন করে কাজ শুরু হয়েছে।
ཧএদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে আরও দাবি করা হয়, পশ্চিমবঙ্গে তেলের খনির পিছনে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ১০৪৫.৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। যদি এখানে খননকার্যের মাধ্যমে মাটির তলা থেকে তেল উত্তোলন শুরু করা যায়, তাহলে বছরে পশ্চিমবঙ্গের আয় হতে পারে ৮১২৬ কোটি টাকা। এদিকে শুধু অশোকনগর নয় রানাঘাট, কাঁকপুলের মতো আরও অন্তত ৯৯.০৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় খনিজ তেল রয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রের। এই আবহে সেই সব জায়গাতেও খননের জন্যে রাজ্যের অনুমতি চেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।