𝕴 বাংলাদেশের অন্যতম খ্যাতনামা অভিনেত্রী হলেন আজমেরী হক বাঁধন। তিনি বাংলাদেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ভাবে যোগ দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, মশাল হাতে রাত জেগে পাহারা দিয়েছেন। এবার সেই অভিনেত্রীকেই কটাক্ষ করলেন তসলিমা নাসরিন। বিদ্রুপ শানালেন। কিন্তু কেন?
আরও পড়ুন: ♐টলিউডে কাস্টিং কাউচের বাড়বাড়ন্ত! নামী ফটোগ্রাফারের নাম করে অর্ধনগ্ন শ্যুট করে ব্ল্যাকমেল তরুণীদের
কী লিখলেন তসলিমা নাসরিন?
𝔍বাংলাদেশে তিনি ফিরতে পারেন না। তাঁর ফেরার সমস্ত পথ বন্ধ। কিন্তু ওপার বাংলায় কী ঘটছে প্রতিটি দিকে তাঁর কড়া নজর। সমস্ত বিষয়ে আপডেট দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। জানান নিজের মতামত। কার কথা বলছি? দুই বাংলার জনপ্রিয় লেখিকা তসলিমা নাসরিন। এদিন তিনি বদলের বাংলাদেশ, ছাত্র আন্দোলন নিয়ে নিজের মতামত লিখলেন। আর সেখানেই খোঁচা দিলেন আজমেরী হক বাঁধনকে।
🐈এদিন তসলিমা নাসরিন তাঁর ফেসবুকের পাতায় আজমেরী হক বাঁধনের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। সঙ্গে সেটার ক্যাপশনে লেখেন, 'এই মহিলাটি যে গলা ফাটিয়ে দেশের সংস্কার করবে বলল, এ পর্যন্ত দেশের কী কী সংস্কার করেছে সে?' সেই ভিডিয়োতে মাইক হাতে অভিনেত্রীকে চিৎকার করে বলতে শোনা যাচ্ছে, 'কারণ দেশটা আমার। দেশটা সংস্কারও করব আমরা।' বলেই তাঁকে কাঁদতে দেখা যায়। কিন্তু বদলের বাংলাদেশে যা চলছে সেটা দেখেই এদিন তসলিমা নাসরিন তাঁকে খোঁচা মারেন।
𒀰এই বিষয়ে জানিয়ে রাখা ভালো স্বৈরাচার হাসিনাতন্ত্র থেকে মুক্তি পেতে ঢাকার রাজপথে নেমেছিলেন তিনি তাঁর আরও সহনাগরিকদের সঙ্গে। আন্দোলনরত ছাত্রদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন দেশের অবস্থা বদলাতে। সময় পেরিয়েছে। হাসিনার সরকারের পতন হয়েছে। কিন্তু বদল এসেছে কি? মহম্মদ ইউনুসের বাংলাদেশেও অশান্তি চরমে পৌঁছেছে। বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে আগুন লাগানো হয়। চালানো হয় ভাঙচুর। তাই এদিন তসলিমার প্রশ্ন বদলের এই বাংলাদেশে ঠিক কী কী সংস্কার করলেন আজমেরী হক বাঁধন?
🍒এই বিষয়ে জানিয়ে রাখা ভালো, কেবল বাংলাদেশের অশান্তি নয়, সেখানকার বইমেলায় যে তাঁর বই চুম্বন ব্রাত্য করা হয়েছে সেই বিষয়েও সরব হয়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করে লেখেন, 'চুম্বন কেন বইমেলায় নিষিদ্ধ? যেহেতু বইটি আমার লেখা। তিরিশ বছর আগে আমাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছিল তখনকার সরকার। তিরিশ বছর আমার বই বলতে প্রায় কিছুই প্রকাশিত হয়নি বাংলাদেশে। তারপরও আমার লেখাকে এত ভয়? এখন গল্পগ্রন্থ চুম্বনটিও ইউনুস সরকারের সইছে না? আগের সরকারগুলো যত না স্বৈরাচারী ছিল, এই ইউনুস সরকার তাদের চেয়ে হাজার গুণ বেশি স্বৈরাচারী। চুম্বন বইখানা পড়ে দেখুন মিস্টার ইউনুস এবং বাংলা একাডেমির পরিচালক, মানবিক গল্পগুলো নিষিদ্ধ করতে মন চায় কেন আপনাদের? মাদ্রাসার একটা সন্ত্রাসী আমার বই মেলায় থাকুক চায় না বলেই তো? সন্ত্রাসীরা যা খেতে চাইছে, সেটাই তাদের খাওয়াচ্ছেন আপনারা। এভাবেই বাক স্বাধীনতার বিপক্ষে, মত প্রকাশের অধিকারের পক্ষে, গণতন্ত্রের বিপক্ষে যাচ্ছেন। এভাবেই সন্ত্রাসীদের শক্তিশালী করছেন। ধিক।'