ꦺ তৃণমূলের চিকিৎসা বিষয়ক নয়া সংগঠন প্রোগ্রেসিভ হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম কার্যনির্বাহী সভা হয়েছে। সেই সভায় পরিষেবা না দিয়ে মিছিল করার অভিযোগ উঠেছে বেশ কয়েকজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, আন্দোলনের নামে সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা যাতে ব্যাহত হতে না পারে তার জন্য এই সংগঠন তৈরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সংগঠনের প্রথম কার্যনির্বাহী সভায় এরকম বেশ কয়েকটি জেলার মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের নাম উঠে এসেছে। অভিযোগ করা হয়েছে, যে এইসব চিকিৎসকরা পরিষেবা না দিয়ে মিটিং মিছিল করতে কলকাতায় যাচ্ছেন। উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি হাসপাতালের এরকম বহু চিকিৎসকের নাম উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন: '♚অন্ধ তৃণমূল বিরোধী রাজনীতি করার জন্য…' আরজি কর আন্দোলনকে ফের আক্রমণ কুণালের
🔥উল্লেখ্য, জানুয়ারির শেষ দিকে এই সংগঠনের পথ চলা শুরু হয়েছিল। শনিবার প্রথম কার্যনির্বাহী সভার আয়োজন করা হয়। তাতে সংগঠনের এক চিকিৎসক জানান, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ সহ একাধিক হাসপাতালের বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ঠিকমতো সরকারি পরিষেবা দিচ্ছেন না। তারা সরকারি কাজে ফাঁকি দিয়ে শহরে এসে মিটিং মিছিল করছেন।
🐲অভিযোগ উঠেছে, এইসব চিকিৎসকরা যেমন সরকারি কাজে ফাঁকি দিচ্ছেন তেমনি সরকারের ব্যর্থতার গল্প শোনাচ্ছেন। এরকম বেশ কয়েকজনের নাম সংগঠনের সম্পাদকের কাছে জমা পড়েছে। জেলা হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক অভিযোগ করেন, যে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করার জন্য বেশ কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তারকে হুমকি দিচ্ছেন বাম এবং অতিবাম ডাক্তাররা। এ বিষয়ে সংগঠনের সভানেত্রী শশী পাঁজা জানিয়েছেন, এইসব সমস্যার সমাধানের জন্য প্রগ্রেসিভ হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের আরও সম্প্রসারণ করা হবে। প্রতিটি জেলা থেকেই শাখাতেই চিকিৎসকদের নাম সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাছাড়া, প্রতিটি জেলায় কমিটি গঠন করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
𝓀এদিন সভায় শশী পাঁজা ছাড়াও ছিলেন ডা. মানস ভুঁইয়া, ডা. করবী বড়াল প্রমুখ। উল্লেখ্য, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এটিই হল রাজ্যের শাসক দলের একমাত্র সংগঠন। এই সংগঠনের সদস্যপদ গ্রহণ করা হচ্ছে। বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে যে কেউ অনলাইনে আবেদন করে সদস্য হতে পারবেন। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বহু নার্স, ডেন্টাল, হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদিক শাখার চিকিৎসকরা সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।