ট্যাঙ্কারের ধাক্কায় মহেশতলায় মৃত্যু হল দুই কিশোরের। তার মধ্যে একজনের দুটি হাতই বাদ চলে গিয়েছে। এই ঘটনার পর রাস্তায় স্ল্যাব ফেলে পথ অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃত🐭 কিশোরের দেহ নিয়ে রাস্তায় নামেন তাঁরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় মহেশতলা এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পুরসভার গাফিলতিতেই এমন বিপদ ঘটেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা মৃতদেহ আগলে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। উত্তেজিত জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়তে থাকে। আর তাতেই রণক্ষেত্র মহেশতলার বজবজ ট্রাঙ্ক রোডের চন্দননগর।
এদিকে পথ দুর্ঘটনায় দুই কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 🐈টেলিফোন করে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চান। আর ওই রাস্তা দ্রুত মেরামত করতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী বলে সূত্রের খবর। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই রাস্তা বেহাল হলেও, সারাই হয়নি দীর্ঘদিন ধরে। মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান দুলাল দাসকে ঘটনাস্থলে আসতে হবে বলে বিক্ষোভ দেখানো শুরু হয়। ক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে রীতিমতো বচসা শুরু হয় পুলিশের। রাস্তায় অবরোধ তোলার জন্য লাঠিচার্জ করে পুলিশ বলে অভিযোগ। পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়।
অন্যꦺদিকে বুধবার দুপুরে মহেশতলার বজবজ ট্রাঙ্ক রোডে রাস্তা পারাপার করার জন্য দাঁড়িয়েছিল সানোয়ার মোল্লা (১৪) এবং আরিয়ান মোল্লা (১৮) নামে দুই কিশোর। তখন একটি ট্যাঙ্কার তাদের সজোরে ধাক্কা মেরে চলে যায়। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় একজন কিশোরের। অপর একজনের দুটি হাত বাদ যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই কিশোরকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বেহালা বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তার। উত্তেজিত এক এলাকাবাসী বলেন, ‘ওরা রাস্তা পার করার জন্য অপেক্ষা করছিল। পিছন থেকে একটি ট্যাঙ্কার এসে ধাক্ক🐲া মারে। গ্যাস বোঝাই ওই ট্যাঙ্কারটি এসে সোজা ধাক্কা মারে। তখন ওরা দু’জন ছিটকে পড়ে যায়। একজনের মৃত্যু হয়েছে। অপরজন হাসপাতালে গিয়ে মারা যায়।’
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় চা🃏র্জশিট পেশ, র্যাগিং কাণ্ডে ১২ জনের নাম
পুলিশ অবশ্য ঘাতক ট্যাঙ্কারের চালক এবং খালাসিকে আটক করেছে। তারা পালাতে পারেনি। আর দুই কিশোরের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তবে এই ঘটনায় রাস্তায় বোল্ডার ফেলে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে রাখা হয় দেহ। পুলিশকে ইটবৃষ্টি করেন উন্মত্ত জ🌌নতা। পুলিশ পালটা লাঠিচার্জ করে। অনেকক্ষণ পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে এখনও স্বাভাবিক নয় যান চলাচল। এই বিষয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান দুলাল দাসের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।