রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের স্মৃতি ফিরল সোদপুরে। সাত দিন ধরে স্বামীর দেহ আগলে বসে থাকলেন স্ত্রী। সামবার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সোদপুরের উত্তরপল্লি এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সোদপুর থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, কমপক্ষে সাত দিন আগে মৃত্যু হয়েছে অমিয় দাসের (৮০)। অমিয়ের মৃত্যু স্বাভাবিকভাবে হয়েছে নাকি এর পিছনে কোনও অন্য কোনও কারণ আছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আপাতত ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার অপেক্ষা করছেন তদন্তকারীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকারই একটি বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে থাকতেন অমিয় দাস ও তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি দাস। একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন অমিয়। ওই দম্পতির একমাত্র ছেলে অভিজিৎ দমদমের বাসিন্দা। বাবার মৃত্যুর ব্যাপারে কিছুই জানতেন না বলেই দাবি ছেলের। অভিজিতের আরও দাবি, তাঁর বাবা অসুস্থ ছিলেন। চার-পাঁচমাস আগে মা-বাবার সঙ্গে শেষবার তাঁর কথা হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন অভিজিৎ। তবে কেন এতদিন বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি তিনি, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রতিবেশীদের দাবি, কিছু দিন ধরে এই দম্পতিকে কেউ ঘর থেকে বের হতে দেখেননি। প্রতিবেশীদের আরও দাবি, অঞ্জলি দাস মানসিক ভারসাম্যহীন। সোমবার সকাল থেকেই অমিয়ের বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। সেই গন্ধ তীব্র হতেই সন্দেহ হয় পড়শিদের। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে হতবাক হয়ে যান। তাঁরা দেখতে পান, অমিয়ের নিথর পচাগলা দেহ ঘরের মধ্যে পড়ে রয়েছে। তার পাশেই দেহ আগলে বসে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি। তারপর ওই ঘর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমেছে সোদপুর থানার পুলিশ।