সত্যজিৎ বিশ্বাসের খুনের ঘটনায় দ্বিতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করল সিআইডি। সূত্রের খবর, তাতে ‘মূল ষড়যন্ত্রকারী’ হিসেবে মুকুল রায়ের নাম আছে। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।গত বছর ৯ ফেব্রয়ারি নদিয়ার হাঁসখালিতে বাড়ির কাছেই খুন হয়েছিলেন কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক তথা তৎকালীন জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি। খুব কাছ থেকে তাঁর মাথায় গুলি করেছিল আততায়ীরা। দিন দশেকের মধ্যে মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ পুণ্ডারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সবমিলিয়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছিল সিআইডি। ঘটনায় নাম জড়ায় বিজেপি নেতা মুকুল রায়েরও। তাঁকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি। এফআইআরে ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে মুকুল ও রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নাম থাকলেও প্রাথমিক চার্জশিটে তাঁদের নাম রাখা হয়নি। চলতি বছর সেপ্টেম্বরে জগন্নাথের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় সিআইডি। পরে তিনি অবশ্য জামিন পান। সেই চার্জশিটে মুকুলকে সন্দেহভাজনের তালিকায় রাখা হয়েছিল।তারপর শনিবার রানাঘাট অতিরিক্ত দায়রা আদালতে দ্বিতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করে সিআইডি। সূত্রের খবর, তাতে ‘মূল ষড়যন্ত্রকারী’ হিসেবে মুকুলের নাম রাখা হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে, খুনের ঘটনার আগে ও পরে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল মুকুলের। দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দেওয়া এবং পালানোর ক্ষেত্রেও মুকুল মদত দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সেজন্য তাঁকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (খুন) এবং ১২০ ধারা (ষড়যন্ত্র) ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।যদিও চার্জশিটে নাম থাকার বিষয়টিকে পাত্তা দিতে রাজি নন মুকুল। তিনি দাবি করেন, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তাঁর নামে ৪৪ টি মামলা ঝুলছে। তাতে কিছু হবে না। ‘আইনের শাসন’-এ ভরসা আছে বলে তিনি বলেন, ‘আইনের পথেই লড়াই করব৷ চার্জশিটে নাম দিচ্ছেন কে? সিআইডির দফতরের দায়িত্বে কে?'