মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন রানি শিরোমণির প্রতি সম্মান জানিয়ে হাওড়া–আদ্রা শাখায় ‘শিরোমণি ফাস্ট প্যাসেঞ্জার’ ট্রেন চালু করেছিলেন। সেটি চলছিলও। কিন্তু করোনাভাইরাস পর্বে দীর্ঘ দু’বছর বন্ধ ছিল। এবার অবশেষে তুলেই দেওয়া হল শিরোমণি ফাস্ট প্যাসে꧙ঞ্জার ট্রেন। তার পরিবর্তে মঙ্গলবার থেকে ওই রুটে চালু হয়েছে হাওড়া–আদ্রা এক্সপ্রেস। ট্রেন চালু হলেও জঙ্গলমহলবাসীর স্মৃতি বিজড়িত শিরোমণি ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি বন্ধ করে দেওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন জঙ্গলমহলের মানুষজন। নেপথ্যে কেন্দ্রের ষড়যন্ত্রকেই দায়ী করছেন রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, ইংরেজ আমলে অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার উত্ত🔯র পশ্চিমাঞ্চলের আদিম অধিবাসীদের উপর অত্যাচার চালায় ব্রিটিশরা। কেড়ে নেওয়া হয় তাঁদের জমি। তখন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন কর্ণগড়ের রানি শিরোমণি। তাঁর নেতৃত্বেই শুরু হয়েছিল ব্রিটিশ বিরোধী চুয়াড় বিদ্রোহ। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে কম্পন ধরিয়ে দিয়েছিলেন রানি একাই। যদিও পরে বন্দি হতে হয় রানিকে। ১৮১২ সালে রহস্যমৃত্যু হয়𝓰 তাঁর।
তারপর ঠিক কী হল? ২০১১ সালে ত♑ৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থে꧂কেই রানি শিরোমণির ইতিহাস পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা শুরু হয়। ইতিমধ্যেই রানির স্মৃতিবিজড়িত কর্ণগড়কে নতুন ধাঁচে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। কর্ণগড়কে রাজ্যের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের স্বীকৃতি দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু শিরোমণি ট্রেনটি বন্ধ করে দিয়ে জঙ্গলমহলবাসীর সেই ক্ষোভ ফের উস্কে দিল কেন্দ্রꦚীয় সরকার।
ঠিক কী বলছেন রাজ্যের মন্ত্রী? এই বিষয়ে বিধায়ক তথা মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বলেন, ‘রানি শিরোমণিকে নিয়ে রেলের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। শিরোমণি নামাঙ্কিত ট্রেনটি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য রেলের কাছে পুনরায় আবেদন করব।’ এই ঘটনার পর ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে জঙ্গলমহলের মানুষের মনে। তাঁ🐟রা এই ট্রেনের দাবিতে আন্দোলনে নামবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।