তাঁদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক মেনে নেয়নি পরিবার। সে কারণে চরম পথ বেছে নিলেন এক যুগল। সম্পর্কে তাঁরা দেওর-বৌদি। গাছের ডালের সঙ্গে ওই যুগলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর দিনাজপুরে। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের সীমান্ত এলাকার বিষ্ণুপুর পঞ্চায়েত অন্তর্গত শীতলপুরে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম মুনমুন দাস মাইতি (২৯) ও বিশ্বজিৎ দাস (২৫)। বিশ্বজিৎ সম্পর্কে মুনমুনের দেওর হয়। সকালে পড়শিরা পাড়ারই একটি আমগাছ থেকে দেওর ও বৌদির মৃতদেহ উদ্ধার করেন। খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পরিবার সূত্রে খবর, বেশ কয়েকবছর আগে দাস পরিবারের বড় ছেলে দীপক দাস ওরফে বাপ্পার সঙ্গে বিয়ে হয় মুনমুনের। দু’জনের আট বছরের একটি মেয়ে ও তিন বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। কর্মসূত্রে বাপ্পা বহুদিন ধরেই কেরলে রয়েছেন। সেই সময়ই দেওর-বউদির মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হতেই আপত্তি করেন বাড়ির লোকজন। দীর্ঘদিন এই নিয়ে পরিবারের মধ্যে তুমুল অশান্তি চলছিল। এমনকী, দিনচারেক আগেও দেওর-বৌদির এই সম্পর্ক নিয়ে পরিবারে তুমুল অশান্তি বাঁধে। জানা গিয়েছে, গতকাল সন্ধ্যায় মুনমুন ও বিশ্বজিৎ বাইরে বেরিয়েছিলেন। কিছুক্ষণ পর বাড়ি ফিরে এসে আবার তাঁরা বেরিয়ে যান। সারা রাতে দু’জনে আর বাড়ি ফেরেননি। এরপরই সকালে বাড়ির কিছুটা দূরে আমগাছে দু’জনের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান প্রতিবেশীরা। তড়িঘড়ি পুলিশকে খবর দেওয়া হলে, ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।তারপর দেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিকেব কলেজ এবং হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই বোঝা যাবে যে, ঘটনাটি আত্মহত্যা না এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, বাড়ির অশান্তির কারণেই আত্মহত্যা করেছেন মুনমুন ও বিশ্বজিৎ। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ বিশ্বজিতের মা-বাবাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে।