সাপ বাঁচানো এবং সাপ নিয়ে মানুষকে সচেতন করায় ছিল তাঁর নেশা। বাড়িতে এক ডজন সাপের সঙ্গে তাঁর বাস। একসঙ্গে সঙ্গে থাকতে গিয়ে এর আগে তাঁকে কꦿমপক্ষে সাতবার কামড়েছে সাপ। কিন্তু, অষ্টমবার আর বাঁচানো গেল না। সাপের কামড়ে মৃত্যু হল এক সর্ব প্রেমীর । মৃতের নাম দীপক সর্দার (৭৫)। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থানার বালিচকে। সাপের ছোবল খাওয়ার পর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত করেন।
আরও পড়ুন: সাপের কামড়ে কমবে মৃত্যু, কলকাতা মেডি🔥ক্যালে 🐬ট্রায়াল নতুন ওষুধের
জানা গিয়েছে, দীপক একজন সাপুড়ে ছিলেন। তবে খেলা দেখাতেন না, বিভিন্ন প꧟্রদর্শনীর মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করতেন। একসময় তাঁর বাড়িতে ৬৫ টি সাপ ছিল। তবে বর্তমানে বাড়িতে রয়েছে ১২টি সাপ। নিয়মিত তিনি সাপেদের খাওয়াতেন। মঙ্গলবার দুপুরে সাপকে খাওয়াতে গিয়েই একটি কোবরা তাঁকে ছোবল মারে।
জানা গিয়েছে, বাস্তুতন্ত্রে সাপের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তিনি মানুষের মধ্যে প্রচার করে বেড়াতেন। সাপ মারা কেন উচিত নয়? তাছাড়া কোনও সাপের কী উপকার রয়েছে তা তিনি বোঝাতেন মানুষকে। তাঁর মধ্যে বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তাধারা ছিল। তিনি কখনও কুসংস্কারের আশ্রয় নেনন෴ি। বরঞ্চ বিজ্ঞানসম্মতভাবেই মানুষকে সাপ সম্পর্কে বোঝাতেন। বিজ্ঞান মঞ্চের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন তিনি। বিজ্ঞান মঞ্চের তরফে আয়োজন করা প্রায় ৩০০টির বেশি সচেতনতা শিবিরে তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন।
জানা গিয়েছে , দীপক আসলে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বারুইপুর এলাকার বাসিন্দা। তবে কয়েক দশক ধরে তিনি পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থানার বালিচকে থাকতেন। মঙ্গলবার সাপের কামড়ের পর তাঁকে প্রথমে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। সেখানেই গভীর রাতে তিনি মারা যান। পরে ময়নাতদন্তের জন্য 𒉰বুধবার মৃতদেহ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়। এদিন পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের পক্ষ থেকে তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
বিজ্ঞান মঞ্চের এক সদস্য জানান, সাপকে নিয়ে সচেতনতার প্রচার করতেন তিনি। ৬৫টি সাপের সঙ্গে খাঁচার মধ্যে থেকেছেন। এর আগে তাঁকে সাত বার সাপে কামড়ে ছিল। তবে প্রত্যেকবার বেঁচে গেলেও এবার থেকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ডেবরা পঞ্চায়েত সমিতির সহ–সভাপতি প্রদীপ করও তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।এদিকে, সাপ পোষা বেআইনি হওয়ায় কীভাবে দীপক বাবু বাড়িতে সাপ রাখতেন তা নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। তাঁর♏ বাড়ি থেকে সাপগুলো উদ্ধার জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।