বন্যপ্রাণীদের গতিবিধি এবং সুরক্ষার কথা ভেবে উদ্যোগ নিল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান। এবার সরাসরি গভীর জঙ্গলে মাইক্রো ড্রোন ক্যামেরার কড়া নজরদারি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে ২১৬.৫১ বর্গ কিলোমিটারের বিস্তীর্ণ জঙ্গলে নজরদারি চালানোর ক্ষেত্রে মাইক্রো ড্রোন ক্যামেরা অনেকটা সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ক্যামেরায় সবটাই ধরা🌃 পড়বে। কোনও কিছু এড়িয়ে যাবে না। তাই মাইক্রো ড্রোন ক🅰্যামেরা প্রযুক্তির উপর ভরসা করছেন বন দফতরের কর্তারা।
বন দফতরের কর্মীরা নজরদারি চালায় জঙ্গলে। কিন্তু তাতে অনেকটা সময়ও যায়, পরিশ্রমও করতে হয় বিস্তর। জঙ্গলে রেইকি বা নজরদারি করতে কুনকি হাতির পিঠে চেপে যেতে হয় বনকর🧸্মীদের। ফলে সব কাজটা করা সম্ভব হয় না অনেক সময়। সেখানে এই মাইক্রো ড্রোন ক্যামেরা জঙ্গলের সব জায়গার এবং প্রতিটি কোণের নিখুঁত ছবি এবং ভিডিয়ো তুলে দিতে সক্ষম। মাইক্রো ড্রোন ক্যামেরার জেরে একদিকে সময় যেমন বেঁচে যাবে তেমন কাজটাও হবে অনেক কম সময়ে। তাই জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে চারটি আধুনিক প্রযুক্তির মাইক্রো ড্রোন ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। পরে গোটা জঙ্গলে আরও ক্যামেরা লাগানো হবে বলে বন দফতর সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: ‘কাল রাতে হোটেলে কাদের নিয়ে শুয়েছিল’, জুনিয়র ডাক্তারদের কড়া নিশানা করলেন কুণাল
এই মাইক্রো ড্রোন ক্যামেরায় কোনও অস্বাভাবিক কিছু ধরা পড়লে তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ করা যাবে। প্রয়োজনে বনকর্মীরা দল বেঁধে পৌঁছে যাবেন সেখানে। বন দফতরের কর্তারা মনে করছেন, ওই উন্নত প্রযুক্তির ক্যামেরার সঠিক ব্যবহার জঙ্গলে করা🐓 গেলে চোরাশিকারিদের দৌরাত্ম্য কমানো যাবে। মাইক্রো ড্রোন ক্যামেরা পরিচালনা করতে একদল বনকর্মীকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের মূল আকর্ষণ একশৃঙ্গ গন্ডার। তবে এখানে প্রচুর হাতি, বাইসন, চিতাবাঘ ও নানা প্রজাতির হরিণ আছে। এখানেই জলদাপাড়া চোরাশিকারিদের সক্রিয়তা রয়েছে।
এখন অনেকে ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহারের পক্ষে সওয়াল করেছেন। কিন্তু এই ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের ছাড়পত্র লাগে। যা হাতে পেতে সময় লেগে যায়। সেখানে মাইক্রো ড্রোনের ক্ষেত্রে সেসব বিধিনিষেধ নেই। আর মাইক্রো ড্রোন প্রচণ্ড দুর্গম এলাকার ছবিও সহজেই তুলে দিতে পারে। ড্রোনের ক্ষেত্রে সেটা অতটা সঠিক নয়। এমনকী মাইক্রো ড্রোন পরিচালনা করাও খুব সহজ। এই বিষয়ে জলদাপাড়া বনবিভাগের ডিএফও প্রবীণ কাসোয়ান বলেন, ‘এই প্রযুক্তির চোখের ব্যর্থতা প্রায় নে𝔉ই বললেই চলে। তাই আমরাও একধাপ এগিয়ে মাইক্রো ড্রোন ক্যামেরা প্রযুক্তি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’