ไ শ্রাবণী মেলা উপলক্ষ্যে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে তারকেশ্বরে। এখানে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ভক্তরা আসেন। তখন তাঁরা সড়কপথের তুলনায় বেশি ব্যবহার করেন রেলপথ। তারকেশ্বর পৌঁছতে রেলপথ সবচেয়ে আরামদায়ক লাইফলাইন। তাই রেলে ভিড় বাড়ছে। তবে টিকিট কেটে ট্রেন ধরার বিষয়ে চাপে পড়ছেন ভক্তরা। আসলে সময় বেশি যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলা শুরু হয়েছে। আর সঙ্গে সঙ্গেই পূর্ব রেল দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য স্পেশাল লোকাল ট্রেন চালানো শুরু করেছে। তাতে রেলের বাড়তি আয় হচ্ছে।
♊এই শ্রাবণী মেলায় বিপুল পরিমাণ মানুষ ভিড় করেন। তাই এই জনসমাগমের সুবিধার জন্য মেলার বিশেষ দিনগুলিতে এবার হাওড়া এবং তারকেশ্বরের মধ্যে অতিরিক্ত ৪ জোড়া ও শেওড়াফুলি–তারকেশ্বরের মধ্যে অতিরিক্ত ৪ জোড়া ইএমইউ স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল। শহর, অন্যান্য জেলা এবং ভিন রাজ্য থেকে আসা দর্শনার্থীরা যাতে মন্দির দর্শন করে দ্রুত বাড়ি ফিরতে পারেন তার জন্যই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে। চলতি বছরে শ্রাবণী মেলায় তারকেশ্বরে যাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৯.৩৫ শতাংশ। আর টিকিট বিক্রিতে রেলের আয়ও বেড়েছে ১০৭.৭৭ শতাংশ। তাই যাত্রীদের উন্নত পরিষেবা দিতে উদ্যোগ নিল রেল।
আরও পড়ুন: 𝓀রাজ্যের মন্ত্রী কি হচ্ছেন উত্তম বারিক? তৃণমূল কংগ্রেসের তালিকায় উঠে এসেছে নাম
⛎লোকাল ট্রেনের পরিষেবা বাড়ায় খুশি ভক্তরা। ট্রেন বাড়ানোর পাশপাশি দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য রেলের পক্ষ থেকে বিশেষ বন্দোবস্ত করা হয়েছে তারকেশ্বর স্টেশনে। অতিরিক্ত ইউটিএস কাউন্টার ইতিমধ্যেই খোলা হয়েছে। ভিড়ের সময় আরপিএফ এবং কমার্শিয়াল ডিপার্টমেন্টের কর্মীরা যাত্রীদের ট্রেনে উঠতে ও নামতে সাহায্য করছেন। তাছাড়া স্টেশনে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করছেন। যাতে কোনওরকম দুর্ঘটনা না হয়। আঘাত না লাগে। অতিরিক্ত টিকিট চেকিং স্টাফ, আরপিএফ ও সিভিল ডিফেন্সের স্বেচ্ছাসেবীদের যাত্রী সহায়তায় রাখা হয়েছে। এমনকী মেডিক্যাল টিম ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
﷽এইসব পরিষেবা যে যাত্রীরা পাবেন তা প্রথমে কল্পনাই করতে পারেননি। এই মেলা যাওয়ার ব্যবস্থা দেখা ভক্ত শুভঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, ‘আগে এসব পরিষেবা ছিল না। এখন তা পাওয়া যাচ্ছে। তাতে ভিড় ঠেলতে হচ্ছে না। আবার দিনের দিন বাড়ি ফেরা যাচ্ছে।’ এই পরিষেবা নিয়ে শেওড়াফুলির বাসিন্দা মানস মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘ভাল হয়েছে ট্রেন বাড়িয়ে। আর প্রযুক্তি নির্ভর টিকিট কাটার ব্যবস্থা হওয়ায় সুবিধা হয়েছে।’ এখানে মোবাইল ইউটিএস চালু হয়েছে। এই মোবাইল ইউটিএসের মাধ্যমে রেলের বুকিং কর্মীরা চলতে ফিরতেই প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের অসংরক্ষিত টিকিট ইস্যু করে দিচ্ছেন। ফলে টিকিটের লাইনে দাঁড়াতে না হচ্ছে না।