বায়ু দূষণে 🙈জেরবার দেশের রাজধানী দিল্লি। যার জেরে আপাতত দিল্লি সরকারের অর্ধেক বা ৫০ শতাংশ কর্মী ও আধিকারিককে 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম', অর্থাৎ বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হল।
বুধবার দিল্লির পরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রাই এই নির্দেশিকা জারি করেছেন। সরকারের এই সিদ্ধান্তে🔯র কথা জানিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলেও পোস্ট করেছেন তিনি।
গোপাল তাঁর পোস্টে লিখেছেন, 'দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে দিল্লি সরকার বাড়ি থেকে কাজ করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের ৫০ শতাংশ কর্মী বাড়ি থেকে কাজ করবেജন।'
প্রসঙ্গত, এর আগে দূষণের কারণেই দিল্লি সরকার ও দিল্লি পুরনিগমে কর্মীদের কাজের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। স্থির করা হয়েছিল, দিল্লি পুরনিগমে রোজের কাজ হবে সক༒াল ৮টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এবং দিল্লি সরকারের কার্যালয়গুলিতে কাজ হবে সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৬টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
এদিকে, দিল্লিতে বায়ু দূষণের মাত্রা সন্তোষজনক পরিস্থিতিতে নামার তেমন কো🧔নও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। কারণ, বুধবারও রাজধানী শহরে 'বায়ুর গুণমান সূচক' বা একিউআই ছিল - 'গুরুতর'! যা স্বাস্থ্যের পক্💜ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক।
২৪ ঘণ্টার নিরিখে বুধবার সকাল ৯টায় দিল্লির গড় একিউআই ছিল - ৪২৪ (গুরুতর)। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফ থেকে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়। তাদের প্রকাশ করা অন্য তথ্য অনুসারে, মঙ্গলবার বিকেল🤡ে ৪টের সময় দিল্লি একিউআই ছিল - ৪৬০ (গুরুতর)।
অর্থাৎ - অ🦄ঙ্কের হিসাবে বুধবার সকালে দূষণের মাত্রা খুব সামান্য কমলেও তাতে আখেরে কোনও লাভ হয়নি। কারণ, একিউ🙈আই সেই 'গুরুতর' পর্যায়েই থেকে গিয়েছে।
যদিও গত সোমবার পরিস্থিতি ছিল আরও ভয়ঙ্কর। সে🔯দিন একিউআই ছিল - ৪৯৪। যা 'অতি গুরুতর' হিসাবে বিবেচিত হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতি এককথায় ভয়াবহ। যেকোনও বয়সের 💝মানুষ - শিশু থেকে প্রবীণ - সকলেই এই দূষণের কবলে পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। এমনকী, সেই অসুস্থতা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত শরীরে বাসা বেঁধে থাকতে পারে।
এহেন পরিস্থিতি কঠোর হাতে মোকাবিলা করার চেষ্টা করছে 'বায়ুর গুণমান নিয়ন্ত্রক কমিশন' (সিএকিউএম)। তারা দিল্লি-এনসিআর-এর অধীনস্ত এলাকাগুলিতে আপাতত সমস্ত নির্মাণকাজ নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। প্রয়োজনে স্কুলগুলিতে যাতে বেশিরভাগ পড়ুয়াকে না আনা হয়, সেই ব্যবস্থাও করা হয়েছে। চতুর্থস্তরের রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যানের অধীনে এই সিদ্ধান্তগুলি ক✨ার্যকর করা হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে আবহবিদরা পূর্বাভাস দিয়েছেন, আগামী তিনদিন হয়তো কিছুটা হলেও স্বস্তিতে থাকবে দিল্লিবাসী। কারণ, এই তিনদিন ভূপৃষ্ঠ লাগোয়া অংশে দূষিত ধূলিকণা ছড়িয়ে দেওয়ার মতো তীব্র বায়ুপ্রবাহ থাকবে ন💦া।