কান্দি পুরসভার অধীনে অ্যাম্বুলেন্স ও শববাহী গাড়ি চালাতেন সুবীর হাজরা। গত পুরসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিটে জয়লাভ করেছেন তিনি। কাউন্সিলার হয়ে গেলেও নিজের পুরনো পেশাকে ছেড়ে দেননি তিনি। অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া থেকে শুরু করে শববাহী গাড়ি নিয়ে শ্মশানে পৌঁছে যাওয়া, সব কাজেই এখনও সক্রিয় জয়ী কাউন্সিলার। মুর্শিদাবাদের কান্দি পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূলের টিকিটে কাউন্সিলার হয়েছেন সুবীর হাজরা। তিনি অনেকদিন থেকেই এই পুরসভার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অস্থায়ী কর্মী হিসাবে পুরসভার অ্যাম্বুলেন্স ও শববাহী গাড়ি চালাতেন। এই বছর মানুষের ভোটে জয়লাভ করলেও নিজের কাজে অবিচল রয়েছেন সুবীর। একদিকে যেমন অসুস্থ রোগীদের পৌঁছে দিচ্ছেন হাসপাতালে, কখনও আবার মৃতদেহ নিয়ে শ্মশানেও যেতে হচ্ছে তাঁকে। হাসপাতাল বলতে শুধু নিজের এলাকার মধ্যেই নয়, অসুস্থ রোগীদের পৌঁছে দিচ্ছেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ বা বহরমপুরের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কাউন্সিলার হয়েও নিজেকে জনসেবামূলক কাজে ব্যস্ত রেখেছেন সুবীর। সুবীরের কর্মকাণ্ডে খুশি কান্দিবাসীরা। উল্লেখ্য, ১৮টি আসনবিশিষ্ট কান্দি পুরসভায় ১৬টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। তপশিলী জাতিভুক্ত কান্দি পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয়েছিল সুবীরকে। নিজের ওয়ার্ডে ২১৯৯টি ভোট পেয়েছেন সুবীর। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস প্রার্থী বুদ্ধদেব দাস পেয়েছেন ৮৫৫টি ভোট। ১৩৪৪টি ভোটে জয়ী হয়েছেন সুবীর।