হাওড়ার ছাত্রনেতা আনিস খান হত্যার ঘটনায় তোলপাড় গোটা রাজ্য। এই সিবিআই তদন্তের দাবিতে পরিবার তো বটেই, ছাত্র সমাজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সরব হয়েছে। এই ঘটনায় ধৃত দুই পুলিশ কর্মী আমতা থানার ওসির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। অন্যদিকে, আনিসের বাবা সালেম খান এরপরেই ওসিকে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে সিট তদন্তকে ধামাচাপা দিতে চাইছে বলে অভিযোগ তুলেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘সিট গঠন করে তদন্তকে যেভাবে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে তাতে বাংলার মানুষ খুশি নয়। বাংলার মানুষ ভালোমতোই বুঝতে পারছে।’ প্রসঙ্গত গতকাল ধৃত দুই পুলিশকর্মীকে আদালতে তোলার আগেই তারা প্রিজন ভ্যান থেকে সংবাদমাধ্যমকে দেখতে পেয়েই নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেছিলেন। তাদের বক্তব্য ছিল, ‘আমরা কিছুই জানিনা। আমাদের বলির পাঁঠা করা হয়েছে। ওসি সব জানেন।’ অথচ আমতা থানার ওসির কথা প্রকাশ্যে আসতেই দেখা যায় ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় ওসিকে। তাতেই বিতর্ক আরও বাড়ে। এ প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘ওরা বলেছে ওসির নির্দেশেই সব হয়েছে। আর আমি বলছি তদন্ত ঠিক মতো হলেই বার হয়ে যাবে নির্দেশ কে দিয়েছিল? ওসি না পিসি! ধরা পড়ে যাবে। সরকার ভয় পাচ্ছে।’অন্যদিকে, বিচার বিভাগীয় তদন্ত বা বিচার বিভাগের এক্তিয়ারে থেকে তদন্ত করলে সেটি নিরপেক্ষ হবে বলেই মনে করছেন সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘আমাদের রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা নেই। আমরা চাইছি বিচার বিভাগের এক্তিয়ারে থেকে সিট তদন্ত করুক।’ শুক্রবার সকালে নদীয়ার নবদ্বীপ পুরসভার ২৪ টি ওয়ার্ডের বামফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থীদের সমর্থনে এক নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ করতে এসে এভাবেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে সরাসরি আক্রমণ করেন সুজন চক্রবর্তী। সুজন চক্রবর্তী ছাড়াও এই দিনের প্রচারে উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএমের নদিয়া জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সুমিত বিশ্বাস সহ অন্যান্য বামপন্থী নেতৃত্ব। এছাড়াও বহু সিপিএম কর্মী সমর্থক প্রচারে অংশগ্রহণ করেন।