জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাস💃পাতালের পর অমানবিক ছবি ধরা পড়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা না মেলায় মৃত সন্তানকে ব্যাগে ভরে বাসে করে বাড়ি নিয়ে যেতে হয়েছে অসহায় বাবাকে। সেই ঘটনায় হইচই পড়েছে গোটা রাজ্যে। সরকারি হাসপাতালে ফের এই ধরনের ঘটনা কেন ঘটল? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও কেন বিষয়টি এড়িয়ে গেল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মৃত শিশুর বাবার দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানালেও তাঁর কথায় কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। যদিও হাসপাতালের দাবি, এ ক্ষেত্রে তাদের কিছুই জানানো হয়নি।
মৃত পাঁচ মাসের শিশুর বা🅷বা পেশায় একজন পরিযায়ী শ্রমিক। সন্তানে♈র মৃত্যুর পরেই তিনি ওয়ার্ড লাগোয়া ক্যাম্পাসে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁর কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা ভাড়൲া চাওয়া হয়েছিল। তবে পরিযায়ী শ্রমিকের কাছে ওই টাকা ছিল না। তাই বাসে করেই তাঁকে ছেলের দেহ নিয়ে যেতে হয়েছিল। যদিও হাসপাতালের সুপার দাবি করেছেন, এ বিষয় কেউ কিছু জানায়নি। ওয়ার্ড মাস্টার অফিস, রোগী সহায়তা ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। সেখানে সহকারী সুপারদের নম্বর দেওয়া থাকে। সেখানে জানালে এই ধরনের সমস্যা হত না।
জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সের টাকা দিতে না পারায় বৃদ্ধার দেহ কাঁধে তুলে হাঁটতে হয়েছিল স্বামী এবং ছেলেকে। সেই ঘটনার পরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তারপরেও কেন হাসপাতালে এই ধরনের ঘটনা𒐪 ঘটল তা কর্তৃপক্ষের কাছে স্পষ্ট নয়। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স মালিকদের বক্তব্য, পরিবারটি আমাদের কাছে বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা চাইছিল। তবে তাঁরা ৮০০০ টাকা ভাড়া চাননি। কিলোমিটার প্রতি ২৫ টাকা করে ভাড়া চাওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে কালিয়াগঞ্জের দূরত্ব ২০০ কিমি।