প্রকাশ্য সভা থেকে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের গামছা দিয়ে বেঁধে রাখার হুঁশিয়ারি সিপিএম র🎃াজ্য কমিটির সদস্য তথা প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষের। একসময় ক মতায় থাকাকালীন বিরোধীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠত সুশান্তর বিরুদ্ধে। এরপর কঙ্কালকাণ্ডের জেরে জেলা ছাড়া হয়েছিলেন। টানা তৃতীয়বার এখন রাজ্যে ক্ষমতায় তৃণমূল। তবে বলদাননি সুশান্ত। রবিবার রঘুনাথপুর ১ ব্লকের শাঁকা গ্রামের ফুটবল মাঠে ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের দ্বিতীয় পুরুলিয়া জেলা সম্মেলনে বক্তব্য পেশের সময় সুশান্ত বলেন, 'সময় এসেছে। গ্রাম𓆏ে যারা চুরি করে সম্পদের পাহাড় তৈরি করেছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে তাদের গলায় গামছা দিয়ে চুরির টাকা আদায় করা হবে। গরীব মানুষের টাকা বুঝিয়ে দিতে হবে। পালিয়ে যাওয়ার কোনও রাস্তা পাবে না।'
সুশান্ত এদিন বলেন, 'তৃণমূলের সবাই চোর নয়, কিন্তু ছোট-বড়-সেজ সমস্ত নেতাই চোর। তৃণমূলের একজন নেতাকেও খুঁজে বের করতে পারবেন না, যিনি চুরির আওতার বাইরে আছেন। দলের যিনি নেতা হন, তাঁকে টাকা দিয়ে পদ পেতে হয়। পঞ্চায়েতে,পুরসভা, বিধায়ক, সাংসদ সবই হতে হয় টাকা দিয়ে। সেই পদ পাওয়ার পর, কী করে তার থেকে আরও বেশি টাকা মজুত করতে পারে, তাই এদের দুর্নীতি করতে হয়।' এদিকে🥃 মাওবাদী-তৃণমূল যোগ প্রসঙ্গ তুলে ধরে সুশান্ত অভিযোগ করেন, 'মাওবাদীদের নেতারা এই মুখ্যমন্ত্রীকেই ক্ষমতার চেয়ারে বসাতে চেয়েছিল। আর এখন অনেক মাওবাদী নেতা তৃণমূলের ব্লক, জেলা স্তরের নেতা হয়ে পড়েছেন।' এদিকে ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের রাজ্যের সম্পাদক তথা সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিয় পাত্র গতকালকের সভায় বলেন, '২০১৮ সালে যে ভাবে তৃণমূল বিরোধীশূন্য করার কথা বলে বামেদের মনোনয়ন জমা করতে দেয়নি এইবার সেই পথে তৃণমূল গেলে খুব বড় ভূল করবে।'
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেই সিপিএমের জেলা সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন সুশান্ত ঘোষ। সূ🎐র্যকান্ত মিশ্রর আপত্তি থাকা সত্ত্্বেও ভোটে জিতে জেলা সম্পাদকের পদে বসেন সুশান্ত। একযুগ আগে এই সুশান্তর নাম জড়িয়েছিল কঙ্কাল কাণ্ডে। বাম জমানায় দীর্ঘদিন ধরে মন্ত্রী ছিলেন সুশান্ত ঘোষ। ২০১১ সালেও গড়বেতা থেকে জয়ী হয়েছিলেন সুশান্ত ঘোষ। তবে সেই বছরই বেনাচাপড়া কঙ্কাল কাণ্ডে নাম জড়ানোয় জেলা ছাড়া হয়েছিলেন সুশান্ত। প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুরের বেনাচাপড়ায় ৯ জন তৃণমূল কর্মী নিখোঁজ হয়েছিলেন। ২০১১ সালের ৫ জুন বেনাচাপাড়া থেকেই উদ্ধার হয় কঙ্কাল। গ্রেফতার হয়েছিলেন সুশান্ত। পরে জামিন পান জেলায় না ঢোকার শর্তে। তবে সেসব বিতর্ক পিছনে ফেলে রেখে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে স্বমহিমায় ফিরেছেন সুশান্ত ঘোষ। দলকে চাঙ্গা করতে দিচ্ছেন 'ভোকাল টনিক'।