সুতপাই তার ভাইপো সুশান্তকে উত্যক্ত করতেন। বারবার তার সঙ্গে দেখা করতে চাইতেন। পাল্টা সুতপার বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করলেন সুতপাকে খুনের ঘটনায় ধৃত সুশান্ত চৌধুরীর পিসিমা রানি চৌধুরী। এর আগে সুতপার বাবা অভিযোগ করেছিলেন, সুশান্ত নাকি ফোন করে তাঁর মেয়েকে উত্যক্ত করতেন। সুতপার পরিবারের সদস্যদের তরফে এই অভিযোগের পর পালꦚ্টা অভিযোগ করে বসলেন সুশান্তর পিসিমা।
সুতপার প্রসঙ্গ উঠতেই যথেষ্ট বিরক্তি প্রকাশ করেন সুশান্তর পিসি। তিনি জানান, ‘সুশান্ত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন। কিন্তু সুতপাই তা হতে দেননি। ওই মেয়েটাই ওকে ভুলতে দেয়নি। উস্কানি দিত। বারবার দেখা করতে বলত।’ তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, সুশান্তকে ক্লাবের ছেলেদের দিয়ে ধমক দেওয়া হয়েছিল। সুতপার কাছ থেকে সে যাতে দূরে সরে যায়, সেজন্যই ধমক দেওয়া হয়েছিল। সুশান্তর পিসির অনুমান, ক্লাবের ছেলেদের দিয়ে ধমক দেওয়া করানোয় সু﷽শান্তর মনে রাগ তৈরি হয়েছিল। সেই রাগ ব𒆙শতই খুন করে থাকতে পারে সে।
নিজের ভাইপো যে খুনের মতো ঘটনা ঘটাতে পারে, সেকথা এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন♛ না সুশান্তের পিসি। তাঁর মতে, ‘সুশান্ত খুব শৃঙ্খলার মধ্যে বেড়ে উঠেছিল। কিন্তু কীভাবে যে কী ঘটে গেল, তা বুঝে উঠতে পারছি না। ওর পিসেমশাই পুলিশে চাকরি♕ করতেন। ওর বাবাও পুলিশে কনস্টেবল। কড়া শাসনের মধ্যে ও বড় হয়েছে। কিন্তু কীভাবে যে কী বদলে গেল, বুঝে উঠতে পারছি না।’ উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে বহরমপুরে প্রকাশ্য রাস্তায় ২১ বছরের সুতপা চৌধুরী নামে এক কলেজ ছাত্রী ছুরিকাঘাত করতে দেখা যায় এক যুবককে। পরে ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়। পুলিশ সামসেরগঞ্জ থেকে সুশান্তকে গ্রেফতার করে।