পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরের ধরমপুর গ্রামে হিন্দু সন্ন্যাসীর ওপর হামলার অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। এই আবহে মঙ্গলবার হাসপাতালে গিয়ে সেই সন্ন্যাসীর সঙ্গে দেখা করে আসেন শুভেন্দু। অসুস্থ সন্ন্যাসীর চিকিৎসার জন্যে তাঁকে কলকাতার প্রাইভেট হাসপাতালে ভরতির করার কথাও বলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এর আগে গতকাল এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তুলনা টেনেছিলেন শুভেন্দু। (আরও পড়ুন: এ যেন অসাধ্য সাধন ইউনুসের! ত্রিপুরায় একজোট র🐬াম-বাম, উঠল বাংলাদেশ ভাগের ডাক)
আরও পড়ুন: ভোটের আগে ওয়াক𒐪ফ বিল নিয়ে বিহারে চিড় ধরবে NDA-তে? অঙ্ক কষে কোন পথে J𒉰DU, LJP-R?
জানা গিয়েছে, আক্রান্ত সন্ন্যাসীর নাম হিরন্ময় গোস্বামী মহারাজ। এহেন পরিস্থিতিতে হিরন্ময় মহারাজের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের মতো পশ্চিমবঙ্গেও জিহাদিদের দাপাদাপি বেড়েছে। এদিকে হিরন্ময় প্রভুর সঙ্গে দেখা করে এসে শুভেন্দু সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় লেখেন, '৩১ মার্চ রাত্রে ভাগবতকথা বাচক নিরস্ত্র হিরণ্ময় গোস্বামী মহারাজ পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের ধরমপুর গ্রামে কয়েকজন জিহাদির হাতে আক্রান্ত হন। তাঁর মাথার 'জটা' কেটে নেওয়া হয় এবং জিহাদিদের অস্ত্রের আঘাতে হিরন্ময় মহারাজ গুরুতর আহত হন। রাত তিনটার সময় ঘটনার বিষয়ে অবগত হওয়ার পর আমার তমলুক কার্যালয়ের কর্মীরা তাঁকে ঘাটাল হাসপাতাল থেকে তমলুকের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে স্থানান্তর করে।' (আরও পড়ুন: ‘যেই দেশ সৃষ্টিতে…’, উত্তরপূর্ব ভারত নিয়ে ইউনুসের উস্ক🌺ানিতে মুখ খুলল কংগ্রেস)
আরও পড়ুন: ওয়াকফ বিল ঠেকাতে ‘শেষ কার্ড’ AIMPLB-র, BJP-র শর✨িকদের কাছে চাইল ‘বꩵিশ্বাসের দাম’
এরপর শুভেন্দু লেখেন, 'বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন থাকায় আজ তাঁকে দেখতে 🍃তমলুকের সেই নার্সিংহোমে গিয়েছিলাম। হিরন্ময় মহারাজের সাথে কথা বলে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজ নিলাম। তাঁর আরও উন্নতমানের চিকিৎসা করানোর জন্য আমি ওনাকে কলকাতার প্রাইভেট হাসপাতালে ভরতি করানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। এছাড়া সমস্ত রকম সহয🍸োগিতার ব্যবস্থা করতে উদ্যত হয়েছি। রাধামাধবের কৃপায় উনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।'
এর আগে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুর উদাহরণ টেনে এনেছিলেন শুভেন্দু। এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, 'ওপার প্রভু চিন্ময়, আর এপার প্রভু হিরন্ময়! বাংলাদেশের মতই পশ্চিমবঙ্গেও সনাতন ধর্মের মানুষের ধর্মাচরণের স্বাধীনতার অধিকার দিনকে দিন সঙ্কুচিত হচ্ছে। বাংলাদেশ যেমন জিহাদিদের মুক্তাঞ্চলে পরিণ🌸ত হয়েছে তেমনই পশ্চিমবঙ্গেও জিহাদিদের🔯 অবাধ বিচরণের অনুমতি দিয়ে রেখেছেন মাননীয়া। তাই এদের দাপাদাপিতে হিন্দুরা ধর্মাচরণ, পুজো অর্চনা করতে বারংবার বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন, মন্দিরে/পুজোর প্যান্ডেলে হামলা হচ্ছে, হুমকির মুখে পড়ছেন আয়োজকরা, হিন্দুদের দোকানপাট ঘরবাড়ি ভাঙচুর হচ্ছে লুঠপাট হচ্ছে, সম্পত্তিতে অগ্নিসংযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। এবার নবতম সংযোজন হল - বাংলাদেশকে অনুকরণ করে পশ্চিমবঙ্গেও ধর্মগুরুদের আক্রমন করা।'