পুজোর মুখে উত্তরবঙ্গে ক্ষুদ্র চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য বড় ধাক্কা। প্রতি বছরই পুজো বোনাসের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন চা শ্রমি꧃করা। পুজোর সময় এই বোনাসই হাসি ফোটায় হাজার হাজার চা শ্রমিকের মুখে। কিন্তু এবার তাঁদের জন্যই মন খারাপের খবর।
ক্ষুদ্র চা বাগানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন প্রায় লাখ দেড়েক শ্রমিক। প্রায় ৫০ হাজারের বেশি ক্ষুদ্র চা বাগান রয়েছে উত্তরবঙ্গে। সূত্রের খবর, আগামী ১০ অথবা ১২ সেপ্টেম্বর ক্ষুদ্র চা শ্রমিকদের পুজো বোনাস সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে। সেখানে মালিকপক্ষ ও ট্রেড ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। সেখানেই পুজো বোনাস নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হবে। এদিকে গতবারে ১৪-১৫ শতাংশ পুজো বোনাস প🔯েয়েছিলেন ক্ষুদ্র চা বাগানের শ্রমিকরা।
তবে এবার সূত্রের খবর🎶, এবার ৮.৩৩ শতাংশ পুজো বোনাস দেওয়ার ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে ঠিক করেছে মালিকপক্ষ। কিন্তু কেন আচমক꧑া এভাবে একধাক্কায় কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে চা শ্রমিকদের বোনাস?
চা মালিক সংগঠনের🍌 দাবি, এবার চায়ের ব্যবসা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। সেই পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের অতিরিক♈্ত বোনাস দেওয়া সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে গোটা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সর্বভারতীয় সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছেন, এবার ভয়াবহ ক্ষতির মুখে চা শিল্প। সেক্ষেত্রে পুজো বোনাস ♋গতবারের তুলনায় এবার কম হতে পা🐻রে।
কিন্তু এখানেই প্রশ্ন, পুজো বোনাসের উপর নির্ভর করে হাজার হাজার চা শ্রমিকদের পুজোর আনন෴্দ নির্ভর করে। সেক্ষেত্রে এব্যাপারে সরকার কতটা হস্তক্ষেপ করে স🐬েটাও দেখার। ক্ষুদ্র চা বাগানের সমস্যা নিরসনে সরকার কতটা আন্তরিক, শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় কতটা উদ্যোগী সরকার তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।