শিক্ষকরাই বিদ্যা শিক্ষার একপ্রকার অভিভাবক পড়ুয়াদের কাছে। এবার সেটাই করে দেখালেন শিক্ষক–শিক্ষিকারা। শুধু পড়াশোনা করিয়ে নয়। স্নেহ–ভালবাসা দিয়েও খুꦿদে পড়ুয়াদের আলিঙ্গন করে নিলেন শিক্ষক–শিক্ষকরা। গত মঙ্গলবার শিক্ষক দিবসে এমন দৃশ্যই দেখা দিল। এই শিক্ষক দিবসকে অন্যভাবে স্মরণীয় করে রাখার উদ্যোগ নিলেন আমতার সোনামুই সাবালয় প্রাথমিক বিদ্যালয়। এখানে শিক্ষক দিবসকে সামনে রেখে স্নেহের সঙ্গে আজ, বৃহস্পতিবার মিড–ডে মিলের খাবার সমস্ত পড়ুয়াকে খাইয়ে দিলেন শিক্ষক–শিক্ষিকারা নিজেদের হাতে। আর তাতেই ভীষণ খুশি হল পড়ুয়ারা। যা নিয়ে চলছে আলোচনা।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? আজ, বৃহস্পতিবার আমতার সোনামুই সাবালয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খꦗুদে পড়ুয়াদের খাইয়ে দিলেন শিক্ষক–শিক্ষিকারা। মিড–ডে মিলের খাবার নিজেদের হাতে খাইয়ে দেন। বিষয়টি নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, পরিকল্পনা একটা ছ🎃িলই। মাঝে জন্মাষ্টমীর ছুটি পড়ে যাওয়ায় করা যায়নি। তাই আজ বৃহস্পতিবার স্কুল খুলতেই পড়ুয়াদের এভাবে চমকে দেওয়া হয়। স্কুলে মোট ১৩০ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। আজ বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী উপস্থিত ছিল। তারা সকলেই মিড–ডে মিল খেয়েছে। তাও শিক্ষক–শিক্ষিকাদের হাতে।
আর কী ঘটল সেখানে? এদিকে নিজেদের হাতে খেতে না হওয়ায় বেজায় খুশি খুদে পড়ুয়ারা। তার উপর শিক্ষক–শিক্ষিকারাই খাইয়ে দিয়েছেন। তাতে আরও আনন্দ পেয়েছে পড়ুয়ারা। পড়ুয়াদের খাওয়ানোর জন্য ১৩০টি চামচ আগেই কেনা হয়েছিল। যাতে এভাবে শিক্ষক দিবসকে স্মরণীয় করে রাখা যায়। পড়ুয়াদের প্রত্যেককে নতুন চামচ দিয়ে মাস্টারমশাইরা খাইয়ে দিয়েছেন। সেই ছবি আবার অভিভাবকদের শেয়ার করা হয়েছে বলে খবর। এরপর শিক্ষক–শিক্ষিক꧙ারা বলেন, ‘আজ ওরা খুব খুশি। এভাবে ওদের সুন্দর অভিজ্ঞতা হবে সেটা ওরা ভাবতে পারেনি।’
আরও পড়ুন: নিজের বেতন বাড়ালেন না মুখ্যমন্ত্রী, সমস্ত মন্ত্রী–বিধা💯য়কদের বাড়িয়ে দিল🐽েন
ঠিক কী বলছেন প্রধান শিক্ষক? অন্যদিকে এই ঘটনার কথা চারিদিকে চাউর হয়ে গিয়েছে। প্রধান শিক্ষক তথা ‘শিক্ষারত্ন’ পুরষ্কারপ্রাপ্ত অরুণকুমার পাত্র বলেন, ‘আমরা এবার শিক্ষক দিবসকে স্মরণীয় করে রাখতে চেয়েছি। তাই তাদেরকে ভালবাসা ও স্নেহ দিয়ে ওদেরকে উৎসাহিত করা হয়েছে। আমরা প্রত্যেকটি ছাত্রছাত্রীকে চামচে দিয়ে খাইয়ে দিয়েছি অভিভাব﷽কদের স্নেহে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, প্রত্যেক বছর এভাবেই দিনটিকে পালন করব। তবে যেসব ছাত্রছাত্রীদের খেতে অসুবিধা হয় তাদের আমরা রোজই খাইয়ে দিই। আগামী দিনেও দেব।’