২০১৩ সালে মধ্যমগ্রামে নাবালিকাকে🗹 গণধর্ষণের মামলায় অভিযুক্তদের যাবজ্ꩵজীবন কারাদণ্ডের সাজা বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলায় ২০১৪ সালে ৫ ধর্ষককে ২০ বছর কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল বারাসত আদালত। সেই রায় বহাল রেখে এদিন বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, এই ধরণের ঘটনায় আদালত কাউকে রেয়াত করবে না।
আরও পড়ুন: শিশুকন্যার যৌনাঙ্গ স্পর্শকে কেন্দ্র কর🍎🀅ে দুই পরিবারের হাতাহাতি, খুন ব্যক্তি
২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে স্থানীয় এক যুবকের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হন আদপে বিহারের বাসিন্দা ওই নাবালিকা। থানায় অভিযোগ জানালে নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে অভিযুক্ত ও তার সঙ্গীরা। এর পর লোকলজ্জায় গায়ে আগুন দেন নাবালিকা। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাঁকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। অভিযোগ, এর পর ওই নাবালিকার দেহ বাড়িতে আনতে দেয়নি মমতা বনꦕ্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ।
ওই ঘটনায় ২০১৩ সালের ২৬ অক্টোবর FIR দায়ের হয় নিমতা থানায়। ২০১৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সঞ্জীব তালুকদার, পলাশ দেবনাথ, রাজেশ মণ্ডল, রাজীব বিশ্বাস ও পাপাই রায় নামে ৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে যায় অভিযুক্তরা।ཧ এদিন সেই আবেদনের রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি বসাক বলেন, নিম্ন আদালতের রায় অপরিবর্তিত থাকবে। এই ধরণের ঘটনায় কাউকে রেয়াত করবে না আদালত।
আরও পড়ুন: ওই চোর পরিবারেꦍর কাউকে BJP নেবে না, বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বললেন শুভেন্দু
বলে রাখি, গত বছর কামদুনি গণধর্ষণ মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট একাধিক অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে। সাজার মেয়াদ কমে বেশ কয়েকজনের। এর পর রাজ্য জুড়ে নতুন করে শুরু হয় বিক্ষোভ। কাম♊দুনির নির্যাতিতাকে সুবিচার দিতে ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে পরিবার ও প্রতিবাদীরা। প্রশ্ন উঠছে, মধ্যমগ্রামে পুলিশ ঠিক মতো মামলা সাজাতে পারলেও কামদুনিতে তারা এব্যাপারে ব্যর্থ হল কেন?