অটোচালকদের কাছ থেকে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বচসা বাঁধে অটোচালকদের। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ঘটনাটি ঘটে🥃ছে উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুরে। দুপক্ষের বচসার জেরে অশান্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের বক্তব্য, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাস্তায়ಌ ডিজেল চালিত অটো নামানো হচ্ছে। তারই প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তারা। তাতেই অটোচালকদের সঙ্গে তাদের বচসা বাঁধে। এই ঘটনার জেরে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
অটোচালকদের অভিযো♚গ, আরটিওর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে তারা অটো চালাচ্ছিলেন। কিন্তু, রবিবার তৃণমূল কর্মীরা তাদের বাধা দেয়। অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা তাদের কাছ থেকে জোর করে কাটমানি দাবি করে। অন্যদিকে, আর এক পক্ষ দাবি করে নতুন অটো চালানোর জন্য স্থানীয় নেতৃত্বের কাছে অনুম💝তি নিতে হবে বলে দাবি করা হয়। এই নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূলের পালটা অভিযোগ, বেলিয়াঘাটা বাজার থেকে ইছাপুর বাজার ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা। এই রাস্তায় ২০টি ডিজেল চালিত অটো চলে। যদিও বারাসত আরটিওর তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ডিজেল চালিত অটো কোনওভাবেই চালানো যাবে না। কিন্তু, তারপরেও ডিজেল চালিত অটো চালানো হচ্ছে। তারই প্রতিবাদে তৃণমূল কর্মীরা অটো আটকে দেয়। যাত্রীদের জোর করে অটো থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এর জেরে এদিন সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনায় বেশ কিছুক্ষণ অটো চলাচল বন্ধ থাকে। যদি এক অংশ দাবি করেছে, লোকাল নেতৃত্বের অনুমতি ছাড়া অটো চালাতে দেওয়া হচ্ছে না। নতুন অটো চালাতে গেলে সে ক্ষেত্রে স্থানীয় নেতৃত্বের অনুমতি নিতে হচ্ছে। সেই অনুমতি না নেওয়ার কারণেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে অটো আটকে দেওয়া হয়। দীর্ঘক্ষণ অটো চলাচল বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়েই যাত্রীদের অন্যান্য যানবাহনের সাহায্যে গꦑন্তব্যস্থলে পৌঁছতে হয়। পরে পুলিশ আসলে অটো চলাচল স্বাভাবিক হয়।