তিন বছর কেটে গিয়েছে তিহাড় জেলে। এবার কেষ্টকে নতুন মেজাজে দেখা গেল দুর্গা পুজো এবং বিজয়া সম্মিলনীতে। আজ, বৃহস্পতিবার বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ 𒁃থেকে মুরারইতে হয় বিজয়া সম্মিলনী। সেখানে যোগ দিয়ে আগামী ২০২৬ সালের নির্বাচনের বার্তা দিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কাঁটা তুলে ফেলে একসঙ্গে সকলকে লড়াই করতে হবে বলে আহ্বান করলেন অনুব্রত মণ্ডল। একই সঙ্গে কর্মীদের বুঝিয়ে বললেন নিজের কথা। সবাইকে এক হয়ে লড়াই করতে হবে। এই মঞ্চে খোঁজ করলেন কাজল শেখেরও।
এদিকে অনুব্রত মণ্ডল এতদিন সবার কাছে দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা ছিলেন। তাই তাঁকে অনেকে পছন্দ করলেও অপছন্দের তালিকাও বড় ছিল। সেটা জেলে বসে উপলব্ধি করেছেন কেষ্ট মণ্ডল। তাই এদিন বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে অনুব্রত মণꩲ্ডল বলেন, ‘আমরা নেতা নই কেউ, নেতা একজনই—মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।꧃ সবাই এখন কর্মী হয়ে লড়ব। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্প আছে। উন্নয়ন চরম পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন তিনি। আমি আপনাদের মতোই একজন কর্মী। বুথ কর্মীরাই দল বাঁচিয়ে রেখেছেন। আমি কোনও নেতা নই। আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
আরও পড়ুন: রেকর্ড খরচ বাড়ল স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা শিকেয়
অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলের মুখে এমন কথা শুনে অনেকেই এগিয়ে এসেছেন। কারণ সামনে বাংলার ৬ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। সেখানে যেন ফল ভাল হয়। জেলা সফরে আসতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বীরভূমেও আসতে পারেন তিনি। তাই এখন থেকেই অনুব্রত মণ্ডলের বক্তব্য, ‘কোনও হানাহানি করবেন না। মারামারি করবেন না। সবাইকে কাছে টেনে নিন। দল তাহলে আরও বড় হবে। কার জন্য ঝগড়া করবেন? আমার জন্য। মন্ত্রীর জন্য ঝগড়া করতে হবে না। আমরা সবাই কর্মী হয়ে যাই। নেতা কেউ হবো না। আমাদের একজন নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা কর্মী থেকে মানুষের পাশে থাকব𝓀।’